বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সমীক্ষা বলছে, গতবারের চেয়ে এবার পাঁচ শতাংশের বেশি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রী চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু পলিটেকনিক এবং আইটিআইয়ের ক্ষেত্রে তা কমছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কলেজগুলির সঙ্গে নিয়োগকারী সংস্থাগুলির যোগাযোগ নেই। তবে রাজ্যের পলিটেকনিক-আইটিআই কলেজগুলির অধ্যক্ষদের অন্য মত। যেমন টালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট আইটিআইয়ের অধ্যক্ষ শৈবাল সেনগুপ্ত বলেন, আইটিআই পড়ুয়াদের চাকরির সুযোগ ভালোই। সবচেয়ে বেশি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁরা। রয়েছে তাঁদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। তাই সমীক্ষা রিপোর্টের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত হওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, আরামবাগ গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষ অসিতকুমার মান্নার যুক্তি, এখন দক্ষতা উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হয়। দক্ষতাকে যুক্ত না করলে কোনও লাভ নেই। আমরা উন্নতমানের ল্যাবরেটরি, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছি। কোর্সকে চাকরির উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। ফলে রিপোর্ট সম্পূর্ণ ঠিক নয় বলেই মনে হচ্ছে।
কোন বিভাগ থেকে সবচেয়ে বেশি পড়ুয়া চাকরি পেয়েছেন, তার পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে আইটিআই থেকে ১৩ শতাংশ পড়ুয়া চাকরি পেয়েছিলেন। পরের বছর তা কমে সাত শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে, পলিটেকনিক থেকে চাকরির হার ১১ থেকে চার শতাংশে নেমে গিয়েছে। বিষয়টি হাল্কাভাবে নেওয়ার কারণ নেই বলে মন্তব্য করা হয়েছে। এই দু’টি ক্ষেত্রে চাকরিযোগ্য পড়ুয়ার সংখ্যাও নিম্নমুখী বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। পলিটেকনিকে চাকরিযোগ্য প্রার্থী ৩২.৬৭ থেকে কমে ১৮.০৫ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে, আইটিআইয়ে চাকরিযোগ্য প্রার্থী ৪২.২২ থেকে কমে হয়েছে ২৯.৪৬ শতাংশ।
পলিটেকনিক বা আইটিআই ছাড়াও এমবিএ এবং ফার্মাসিতে চাকরির হার কমেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, চাকরিযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে তিন এবং ১১ শতাংশ কমেছে। ম্যানেজমেন্ট কোর্সের কেন এই হাল? ব্যাঙের ছাতার মতো এমবিএ কলেজ গজিয়ে উঠলেও উন্নতমানের পড়ুয়ার সংখ্যা কমেছে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যক্রমেও বড়সড় ফারাক দেখা দিয়েছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সিলেবাস তৈরি করা হলেও, অনেকে তার ধার ধারেনি। আরও কড়া বিধি লাগু করা উচিত বলে মনে করছে সমীক্ষা রিপোর্ট। দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আগামীদিনে এই কোর্সের জৌলুস কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে যেভাবে ফার্মাসিতে চাকরির হার কমেছে, তা সব মহলকে অবাক করেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, গতবারের চেয়ে অন্তত ১২ শতাংশ চাকরির হার কমেছে। একসময় এই ক্ষেত্রে বেশ ভালো সংখ্যক পড়ুয়া চাকরি পেতেন। কিন্তু এবারের পরিসংখ্যান অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।