পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মোটর সাইকেলের ধাক্কায় গুরুতর চোট লাগে তাঁর কোমর ও ডান হাঁটুতে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে। কিন্তু, সুস্থ-সবল মিঠু চিকিৎসা উত্তরকালে হয়ে পড়েন প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধকতার পরিমাণ ৮০ শতাংশ। ওই সরকারি হাসপাতাল এমন শংসাপত্র দিয়ে জানায়, ১০ বছর পরে পুনরায় তাঁর প্রতিবন্ধকতা পরীক্ষা করা হবে। এমন শংসাপত্র থাকতেও ট্রাইব্যুনাল তাঁর প্রতিবন্ধকতার পরিমাণ সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। যা সঠিক নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে বেঞ্চ।
আবেদনকারী ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছিলেন, ওই দুর্ঘটনার জেরে পরবর্তীকালে তাঁর শরীরের উপরাংশেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু, কেন যে ট্রাইব্যুনাল আবেদনকারীর এমন ক্ষতির হিসেবে কার্পণ্য করল, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে বেঞ্চ। এমনকী আবেদনকারীর ভবিষ্যতের ক্ষতি সম্পর্কে কেন উদাসীন থাকল, সেই প্রশ্ন তুলে বেঞ্চ বলেছে, ক্ষতিপূরণ দানে অবিচার হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে বেঞ্চ তার রায়ে বলেছে, আবেদনকারীর সরাসরি আর্থিক ক্ষতির অঙ্ক ৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকা। তাঁর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, সম্ভাব্য মাসিক আয় বিবেচনা করে এবং নিয়মমাফিক হিসেব করলে এই অঙ্ক দাঁড়ায়। কিন্তু, আগামী দিনে তাঁর চিকিৎসা খাতে খরচ হবে। হয়তো চলাফেরার জন্য লোকও রাখতে হবে। ওই দুর্ঘটনার জেরে যেসব সুযোগ-সুবিধা থেকে তিনি বঞ্চিত হলেন, যে যন্ত্রণা তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে ও হবে, তারও হিসেব বেঞ্চ করেছে। এইসব ক্ষতির অঙ্ক যোগ করেই মোট ক্ষতিপূরণের অঙ্ক সুদ বাদ রেখেই বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা।
সংশ্লিষ্ট বেসরকারি বিমা সংস্থাকে বেঞ্চের নির্দেশ, অতিরিক্ত যে অর্থ বরাদ্দ হল, তা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সুদ সহ হিসেব করে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে।