দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে খবর, শিবগঞ্জে ভাগীরথী কোঅপারেটিভ ফার্মিং সোসাইটির ১ হাজার বর্গ মিটার জমিতে এই বনাঞ্চল তৈরি করা হবে। যে জমিতে বয়রা, বেল, হরিতকি, বাবলা, বট, অর্জুন, পলাশ সহ ৩৯ প্রজাতির দেশীয় গাছ লাগানো হবে। প্রাথমিকভাবে পরিকল্পিত জমির ৬০০ বর্গ ফুট এলাকায় ১০ দিন ধরে ৩২০০ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হবে। প্রাথমিকভাবে রাজ্যের ১৩টি জেলার ৩৬ জন প্রতিনিধি ১০ দিনের এই কর্মশালায় উপস্থিত থেকে জঙ্গল তৈরির কৌশল হাতেকলমে শেখার পর পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতে এই ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে বনাঞ্চল তৈরি করা হবে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে খবর মিয়াওকি পদ্ধতিতে এই ধরনের জঙ্গল তৈরি করার ফলে একদিকে যেমন সাধারণ বৃদ্ধির তুলনায় গাছ ১০ গুণ বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে সেইরকম এইসব গাছ ৩০ শতাংশ বেশি কার্বন-ডাইঅক্সাইড শোষণ করার পাশাপাশি অক্সিজেন জোগাবে, যেটা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনেকটাই সাহায্য করবে। দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, স্বল্প জায়গায় এই ধরনের বনাঞ্চল তৈরি হলে গ্রামের থেকেও শহরাঞ্চলে এই ধরনের সবুজায়নের প্রয়োজনীয়তা বাড়বে। দপ্তর সূত্রে খবর, ১০ দিনের এই কর্মশালায় মাটি পরীক্ষা থেকে গাছের উপযোগী মাটি তৈরি করা, গাছ বাড়ার ক্ষেত্রে কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করা দরকার সেইসব হাতে কলমে শেখানো হবে।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের কমিশনার দিব্যেন্দু সরকার বলেন, স্বল্প জায়গার মধ্যে দেশীয় গাছ লাগানো হবে, যেটা ১৮ মাসের মধ্যে বেড়ে জঙ্গল তৈরি করবে। প্রাথমিকভাবে ৩৯ ধরনের প্রজাতির গাছ দিয়ে জঙ্গল তৈরির পরিকল্পনা করা হলেও আগামীদিনে ১০০ প্রজাতির গাছ লাগানো হবে। তিনি দাবি করেন, প্রকল্পটি তৈরি করতে ১০০ দিনের শ্রমিকদের কাজে লাগানো হয়েছে যেটা দেশের মধ্যে প্রথম। অন্যদিকে, শ্যামপুরে এই ধরনের জঙ্গল তৈরির উদ্যোগ প্রথম নেওয়া হলেও আগামীদিনে জেলার প্রতিটি ব্লকে এই ধরনের জঙ্গল তৈরির পরিকল্পনার কথা জানান জেলাশাসক মুক্তা আচার্য।