কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বছর দুয়েক আগে স্বেচ্ছায় কার্ড ছাড়ার জন্য ৭ নম্বর ফর্ম চালু করেছিল খাদ্য দপ্তর। কিছু মানুষ ৭ নম্বর ফর্ম জমা দিয়ে কার্ড ছেড়েছেন। কিন্তু সেই সংখ্যা খুব বেশি নয়। মৃত্যুর কারণে কিছু জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের কার্ড বাতিল হয়েছে। সেই জায়গায় নতুন কিছু মানুষকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, ৭ নম্বর ফর্ম পূরণ করে কার্ড ছাড়লে বিকল্প রেশন কার্ড পাওয়ার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এখন ১০ নম্বর কার্ড জমা দিয়ে পুরনো রেশন কার্ড ছেড়ে দিলে নতুন কার্ড পাওয়া যাবে। এতে বহু মানুষ ১০ নম্বর ফর্ম পূরণ করে ভর্তুকির খাদ্যসামগ্রী ছেড়ে দেবেন বলে আশাবাদী খাদ্য দপ্তর। সম্পন্নরা রেশন দোকান থেকে চাল-গম তোলেন না বা কদাচিৎ তোলেন। কিন্তু তাঁদের জন্য ভর্তুকিতে বিপুল পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করতে হয়। ওই খাদ্যসামগ্রীর একটা বড় অংশ খোলাবাজারে বেশি দামে পাচার হয়ে যাওয়ায় সরকারি অর্থ কার্যত জলে যায়।
বিভিন্ন সূত্রে সাধারণ মানুষের যে মতামত খাদ্য দপ্তরের কাছে এসেছে, তাতে বহু লোক শুধু পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য এই রেশন কার্ড রেখে দিতে চান। তাঁদের জন্য ১০ নম্বর ফর্ম পূরণ করে বিশেষ কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। ওই ফর্ম কী আদলে হবে, তাতে কী তথ্য দিতে হবে, তা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। ১০ নম্বর ফর্মের সঙ্গে কোনও নথি জমা দিতে হবে না। তবে আধার নম্বর, প্যান নম্বর, ভোটার কার্ডের নম্বর উল্লেখ করতে হবে। ছোট স্মার্ট কার্ডের আকারে এই বিশেষ রেশন কার্ডে জন্ম তারিখ ও বাড়ির সম্পূর্ণ ঠিকানা থাকবে। পাঁচ বছরের বেশি বয়স হলেই এই কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে। কার্ড সরাসরি গ্রাহকের বাড়ির ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।