পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বর্তমানে রাজ্য সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মীরা ১৩ বছরের পুরনো বেতনক্রমে বেতন পাচ্ছেন। কারণ শেষবার বেতন সংশোধন হয়েছিল ২০০৬ সালে। অতীতে দেখা গিয়েছে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে প্রায় এক সঙ্গেই আলাদা বেতন কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই শিক্ষাকর্মীদেরও বেতন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হতো। কিন্তু এই সরকার তেমন কমিটি গঠন করেনি এবং পে কমিশনেও এই কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ষষ্ঠ বেতন কমিশন ঘোষণার পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীদের ভাগ্যে কী আছে, তা নিয়ে বেশ উৎকণ্ঠায় ছিলেন কয়েক হাজার কর্মী। পে কমিশনে যে তাঁরা নেই, সেই সংক্রান্ত খবর এই সংবাদপত্রেই প্রকাশিত হয়েছিল।
কর্মীদের অভিযোগ ছিল, পে কমিটি ঘোষণা করেও লাগু হয়নি। তাই নতুন পে কমিশন যখন ঘোষণা হয়েছে, তখন সেখানে যেন তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দীর্ঘ আন্দোলন, বিক্ষোভের পর অবশেষে সরকার তাঁদের দাবি মেনে নিয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, কমিশন সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এবং মাদ্রাসা বোর্ডের শিক্ষাকর্মীদের বেতন কাঠামো খতিয়ে দেখবে। তিন মাসের মধ্যে কমিশন এই সব কর্মীদের বেতন নিয়ে যথাযথ সুপারিশও করবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষাকর্মীরা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের নেতা শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কথায়, এটি আমাদের আন্দোলনের জয়। আমরা এই দাবিই বহুদিন ধরেই করে আসছিলাম। অবশেষে সরকার তা মানল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী শেখ আবুল হোসেনের বক্তব্য, জানুয়ারি মাস থেকেই যাতে এটি লাগু করা হয়, সেই আবেদন করা হচ্ছে। তার সঙ্গে অন্যান্য সরকারি যে সুবিধা রয়েছে, তার আওতার মধ্যেও যাতে আমাদের আনা হয়, সেই দাবিও জানাচ্ছি।