গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
২০০৭ সালে কৃষি দপ্তর পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বদলে নিজেরাই প্রায় তিনশো করণিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। পরীক্ষা নিয়োগের দায়িত্বে ছিল দপ্তরই। ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষা নেওয়ার ২০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হয়। সফল পরীক্ষার্থীদের নামের প্যানেল প্রকাশিত হতেই নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করে। কৃষি দপ্তরের নানা আধিকারিক, সংগঠনের নেতা সহ প্রভাবশালীরা তাঁদের ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষা নেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তর অনিয়ম প্রকাশ্যে আসে। বামফ্রন্ট সরকারের সময় কৃষি দপ্তর ফরওয়ার্ড ব্লকের হাতে ছিল। সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় সরকার বেশ অস্বস্তি ও চাপের মধ্যে পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষাটিকে বাতিল করে দেওয়া হয়।
কিন্তু পরীক্ষা বাতিল করার ওই নির্দেশটিকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি লড়াই শুরু হয়ে যায়। সফল পরীক্ষার্থীরা প্রথমে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে (স্যাট) যান। সেখান থেকে মামলা হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায়। দেশের সর্বোচ্চ আদালতও সফল পরীক্ষার্থীদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ইতিমধ্যে রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এসে গিয়েছে। তৃণমূল সরকার প্রথমে সফল পরীক্ষার্থীদের চাকরি দিতে চায়নি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত সফল পরীক্ষার্থীদের প্যানেল থেকে চাকরি দিতে হয়। তিনশোর কিছু কম সফল পরীক্ষার্থী ২০১৬ সালের মধ্যে কৃষি দপ্তরের বিভিন্ন অফিসে কাজে যোগ দান করেন।
তবে সিআইডি-কে দিয়ে কৃষি দপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার অনিয়মের তদন্ত করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সিআইডি কয়েক বছর ধরে তদন্ত করে ওই পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে প্রথমে এফআইআর এবং পরে চার্জশিট দাখিল করে। ওই সময় দায়িত্বে থাকা কৃষি আধিকারিক, অতিরিক্ত কৃষি আধিকারিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে। তবে একজন আধিকারিকের নামে এফআইআর হলেও তাঁর নাম চার্জশিট থেকে বাদ গিয়েছে।