পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজভ্যালির বিষয়ে কিছু তথ্য চেয়ে এর আগে একাধিক চিঠি পাঠানো হয় তাদের তরফে। কিন্তু তাদের দাবি, তা দেওয়া হয়নি রাজ্য প্রশাসনের তরফে। এমনকী এই নিয়ে কোনও জবাবও আসেনি। তদন্তের ক্ষেত্রে এই নথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তাদের বক্তব্য। তা না আসাতেই রোজভ্যালিকাণ্ডে যে সমস্ত মিসিং লিঙ্ক রয়ে গিয়েছে, তা ম্যাচ করানো যাচ্ছে না। সেই কারণেই তদন্ত একটি জায়গায় থমকে গিয়েছে। কিন্তু কেন এগুলি এত গুরুত্বপূর্ণ? তদন্তকারী অফিসারদের ব্যাখ্যা, রোজভ্যালির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়েছিল রাজ্য প্রশাসনের কাছে। যার মধ্যে ছিল, বিভিন্ন নিয়ামক সংস্থার অনুমতি ছাড়াই বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তোলা। এমনকী একটি বিমা সংস্থার সঙ্গে তাদের টাই-আপ রয়েছে বলে টাকা সংগ্রহ করেছে আমানতকারীদের কাছ থেকে। ওই অভিযোগে কার কার নাম ছিল, কী কী প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছিল, তা এই নথি থেকেই পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, এই অভিযোগ আসার পর নবান্ন কোনও তদন্ত করে থাকলে তার রিপোর্ট কী ছিল, তাও জানা দরকার। এর পাশাপাশি এক্ষেত্রে কার কী ভূমিকা ছিল, তা দেখাও প্রয়োজন। যে কারণে এই নথি অত্যন্ত গুরুত্ব পাচ্ছে তাঁদের তদন্তে। তাই বর্তমান মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি গিয়েছে। তাঁর জবাব দেখে নিতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, অর্থ দপ্তরের ওএসডিকে ডাকার পিছনে সিবিআইয়ের যুক্তি, রোজভ্যালি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হোটেল কেনে। এরজন্য বিপুল পরিমাণ জমি নেওয়া হয়। এর বাইরেও আরও জমি কিনেছিল তারা। দীঘা, মন্দারমণি সহ সমুদ্র লাগোয়া এলাকায় কীভাবে তারা জমি পেল, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন অফিসাররা। পাশাপাশি জমি কেনার জন্য অর্থের লেনদেন কীভাবে হয়েছিল, তাও জানা দরকার। সেই প্রসঙ্গে জানতে চেয়েই আগামী ১৮ অক্টোবর অর্থ দপ্তরের ওএসডিকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ সিবিআইয়ের অফিসাররা নবান্নে যান। তাঁরা প্রথমে চিঠি দেন মুখ্যসচিবকে। দ্বিতীয় চিঠি দেওয়া হয় অর্থ দপ্তরের ওএসডিকে। তা পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা। এক্ষেত্রে তাঁদের কৌশল কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।