রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এ তো গেল ডবল অকুপেন্সি বা দু’জনে থাকার কেবিনে থাকার খরচ। এবার সরকারি বাজেট হাসপাতাল ও প্রাইভেট ওয়ার্ডে সিঙ্গল ছোট ও বড় কেবিনে থাকার খরচ কত দেখা যাক। সরকারি নির্দেশনামা অনুযায়ী, কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ৩০০ বর্গফুটের কেবিনে থাকার খরচ পড়বে দৈনিক ২৫০০ টাকা টাকা। তার চেয়ে বড় সাইজের কেবিনে একা থাকলে খরচ পড়বে রোজ ৪০০০ টাকা। একই স্তরের এই দু’ধরনের কেবিনে থাকার খরচ জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলিতে গেলে পড়বে যথাক্রমে ১৫০০ টাকা এবং ২০০০ টাকা। আর জেলা হাসপাতালগুলি এই খরচ পড়বে যথাক্রমে ১০০০ টাকা ও ১৫০০ টাকা। এই তিনস্তরের হাসপাতালেই প্রাইভেট কেবিনের রোগীদের যদি অবস্থা বুঝে আইসিইউ, আইটিইউ ইত্যাদি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখতে হয়, রোজ অতিরিক্ত খরচ পড়বে আরও এক হাজার টাকা করে।
এছাড়াও কতগুলি জরুরি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে ওই নির্দেশনামায়। এক, জেলাস্তরে হাসপাতালগুলিতে রোগীর জন্য অ্যাটেনডেন্ট রাখা হলে দৈনিক খরচ পড়বে ৬০০ টাকা। অন্যদিকে কলকাতা ও জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলির ক্ষেত্রে সেই খরচ পড়বে ১০০০ টাকা। সিঙ্গল হোক বা ডবল—প্রতিটি কেবিনেই থাকবে এসি, টিভি, অ্যাটাচড বাথ, বেসিন, প্রাইভেট লকার এবং সোফা। সিঙ্গল কেবিনগুলির ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা হল রোগীর সঙ্গে থাকা অ্যাটেনডেন্টের জন্য শোয়ার ব্যবস্থা।
এবার দেখা যাক, এই ধরনের হাসপাতাল ও ওয়ার্ডে থাকা রোগীদের বেড ভাড়া ছাড়া আর কী কী ধরনের খরচ গুনতে হতে পারে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, সমস্ত ধরনের ওষুধপত্র এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে দিতে হবে রোগীকে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দিতে হবে সমস্ত ধরনের রোগ ও রক্তপরীক্ষার চার্জও।
সূত্রের খবর, ঝাঁ চকচকে পরিবেশে, পিজি’র উডবার্ন ওয়ার্ডের মতো আরামে স্বাস্থ্য সুবিধা পেতে চালু হওয়া সরকারের এই নতুন বাজেট হাসপাতালটি সম্ভবত প্রথম তৈরি হতে চলেছে পিজিতে। প্রস্তাবিত ১৩০ শয্যার হাসপাতালটির অনুমোদন মিলেছে। উডবার্নের শয্যাসংখ্যাও বাড়ছে। আর প্রাইভেট ওয়ার্ড একে একে চালুর মুখে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (২৪টি), এম আর বাঙুর (১২টি) সহ বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে।