বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কেন কংগ্রেস, সিপিআই বা অন্য কোনও দলকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না? এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্নের মুখে পড়েন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর বক্তব্য অবশ্য স্পষ্ট। তিনি বলেন, পরিস্থিতি, ঐক্য এসব কিছুই আমরা অস্বীকার করছি না। তবে এটা একেবারে আমাদের নিজস্ব কর্মসূচি। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্টদের ভূমিকা থেকে শুরু করে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মতো সব বিষয়ই উঠে আসবে বক্তাদের কথায়। সেখানে কিছু সমালোচনাও থাকবে স্বাভাবিকভাবে। যেমন ১৯২১ সালে পূর্ণ স্বরাজের নামে সার্বিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতার দাবিতে আমরা যে প্রস্তাব তৈরি করেছিলাম, সেটা সেই বছর কংগ্রেসের আমেদাবাদ অধিবেশনে গৃহীত হয়নি। স্বাধীনতা সংগ্রামে কংগ্রেসের অবদানকে অস্বীকার না করলেও এই ধরনের কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের সমালোচনা রয়েছে। একইভাবে কমিউনিস্ট পার্টি তৈরির ইতিহাস এবং পরবর্তীকালে দল ভেঙে যাওয়া নিয়েও অনেক বিতর্ক রয়েছে। তাই আমাদের এই অনুষ্ঠানে এসে কেউ অস্বস্তি বোধ করুক, তা আমরা চাই না। সেই কারণে আমরা অন্য কোনও দলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি না এই অনুষ্ঠানে। উল্লেখ্য, দলের ১০০ বছরের পরম্পরার পাশাপাশি সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। এবছরই জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যাকাণ্ডের শতবর্ষ হওয়ায় একই মঞ্চে সেই স্মরণ সারবে নেতৃত্ব। এজন্য ইতিহাসবিদ চমনলাল সেদিন বক্তা হিসেবে দেখা যাবে মঞ্চে। এঁরা ছাড়া বিমানবাবু, সূর্যকান্তবাবু এবং মহম্মদ সেলিম সেদিন বক্তব্য রাখবেন।
শতবর্ষের এই অনুষ্ঠানস্থল বদল নিয়ে অবশ্য সিপিএমকে খানিকটা অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। তবে সূর্যবাবুর কথায়, তাঁরা সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই অনুষ্ঠান সফল করতে বদ্ধপরিকর। পরিকল্পনার সময় তাঁরা প্রথমে ইন্ডোরই চেয়েছিলেন। কিন্তু কলকাতা বন্দরের শতবর্ষ উপলক্ষে এই হল আগে থেকেই তারা বুক করে রেখেছিল বলে রাজ্য সরকার তা দেয়নি। পরিবর্তে আলিপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় তৈরি হওয়া খোলা মঞ্চ ‘উত্তীর্ণ’ ভাড়া করেন সূর্যবাবুরা। তবে ইন্ডোরের জন্য তিনি নিজে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে চিঠি দিয়ে রেখেছিলেন। বন্দর কর্তৃপক্ষ শেষ মুহূর্তে ১৭ তারিখের অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়ায় ওইদিন সিপিএমকে ইন্ডোর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার চিঠিতে সই করেন মন্ত্রী। আলিমুদ্দিনে সে খবর জানানোর পর তড়িঘড়ি ওই অনুষ্ঠান ঘিরে দলের তৎপরতা আরও বাড়াতে বাধ্য হন সূর্যবাবুরা।