কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি গৃহীত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নীকরণ নীতি এবং আর্থিক মন্দার বিরুদ্ধে জোড়াফুল শিবির ইতিমধ্যেই আন্দোলন শুরু করেছে। তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশেই দলের শ্রমিক সংগঠন এই দুই ইস্যুতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরই পাশাপাশি দেশজোড়া আর্থিক মন্দার মধ্যেও কীভাবে প্রগতির পথে রয়েছে বাংলা, তা নিয়েও প্রচার শুরু হয়েছে। মন্দার মধ্যেও এ রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতি কীভাবে সম্ভব হচ্ছে, তার পরিসংখ্যানগত ভিডিও ফুটেজ তৈরি করে তা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবিরের বক্তব্য, আর্থিক মন্দার মধ্যেও জিডিপি বৃদ্ধির হারে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২.৫৮ শতাংশে পৌঁছল বাংলা, তার সাফল্য কাহিনী বর্ণিত রয়েছে ওই ফুটেজে। কীভাবেই বা রাজ্যের সামগ্রিক মোট উৎপাদন (জিএসডিপি) মাত্র আট বছরে ৪.৭৪ লক্ষ কোটি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.৫৫ লক্ষ কোটি টাকায়, তার বিবরণও রয়েছে। রবিবার ‘প্রগতির পথে বাংলা’ পোস্ট হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত তা দেখেছেন ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। এদিনই আবার রাজ্যের শিল্প ও পরিকাঠামো উন্নয়নে কীভাবে বিনিয়োগ হচ্ছে, তার বিবরণ সম্বলিত ‘বঙ্গের লক্ষ্মীলাভ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন সোশ্যাল মিডিয়ায় জোড়াফুল শিবিরের তরফে পোস্ট করা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, রাজ্যের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত লক্ষ্মীলাভের প্রসঙ্গ দু’টি আসলে দলের নিচুতলার নেতা-কর্মী ও সংগঠকদের প্রচারের জন্যই ‘নোট’ আকারে দেওয়া হয়েছে। আজ, মঙ্গলবারের বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
জোড়াফুল শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর মধ্যে জনসংযোগ পর্বের সঙ্গেই সাংগঠনিক বেশ কিছু কাজ সেরে নেওয়া হয়েছে। শহর এলাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়াপিছু পাঁচজন করে স্থানীয়র নাম পাঠাতে বলা হয়েছিল। প্রতি ওয়ার্ড বা ব্লক থেকে আপাতত সর্বাধিক ২০ জনের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দলীয় সভাপতিদের কাছ থেকে। পরে ধাপে ধাপে আরও নাম চাওয়া হতে পারে। প্রতিটি ব্লক এবং ওয়ার্ড সভাপতিকে সংশ্লিষ্ট ২০ জনের নামের তালিকা, রাস্তার নাম-ঠিকানা এবং ফোন নম্বর আগামী ১০ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছিল। বেশ কিছু এলাকা থেকে সেই নামের তালিকা জমাও পড়েছে। এরই পাশাপাশি বুথপিছু তিনজন করে কর্মীর নাম চাওয়া হয়েছে ওয়ার্ড এবং ব্লক সভাপতিদের কাছ থেকে। তৃণমূল সূত্রের খবর, কলকাতা শহরে প্রতিটি ব্লক বা ওয়ার্ডে ৬০-৬৫ থেকে সর্বোচ্চ ৮০-৮৫টি বুথ থাকে। সেখানে শহরতলি এবং গ্রামীণ এলাকায় ব্লক পিছু গড়ে ২০০-২৫০টি বুথ রয়েছে। আগামী পুরসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনজন করে বুথকর্মী বাছাই করে সংগঠনকে আরও মজবুত করাই যে তৃণমূল সুপ্রিমোর একমাত্র লক্ষ্য, তা এই নির্দেশ থেকেই স্পষ্ট বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তৃণমূল ভবনের বৈঠকে সাংগঠনিক এই বিষয়টিও আলোচনার এজেন্ডায় থাকছে বলে জানা গিয়েছে।