বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১১-১২ সালে রাজ্যে ছিল মাত্র একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সেইবার ভর্তি হয়েছিলেন মাত্র ১১০ জন। তার মধ্যে অধিকাংশই ছাত্র। তার দু’বছর পরে সেই সংখ্যা ১৪৭৩-এ গিয়ে দাঁড়ায়। এক কথায় প্রতি বছরই ক্রমশ বেড়েছে ভর্তির হার। ২০১৮-১৯ সালে ২৫ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছেন। তাৎপর্যপূণ বিষয় হল, ২০১৭-১৮ থেকে তার পরের বছর এক লাফে ১০ হাজার পড়ুয়া বেড়েছে রাজ্যের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। ২০১৪-১৫ সালে চারটি, ২০১৬-১৭ সালে একটি, ২০১৭-১৮ সালে একটি এবং ২০১৮-১৯ সালেও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই ভর্তির হারও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। যদিও সাধারণ সরকারি ডিগ্রি কলেজের সংখ্যা এবং ভর্তির হারের সঙ্গে তুলনা করা সম্ভব নয়, তবুও যে ঝোঁক দেখা যাচ্ছে, তাতে আগামীদিনে এই সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছে শিক্ষামহল। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে এগিয়ে ছাত্ররাই। দেখা যাচ্ছে ২০১৮-১৯ সালে যে সাড়ে ২৫ হাজার পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন, তার মধ্যে ১৬ হাজারের বেশি ছাত্র এবং ৮৯০৮ জন ছাত্রী। তার আগের বছরেও ছাত্রীদের সংখ্যার তুলনায় দ্বিগুণ ছাত্র ভর্তি হয়েছিলেন।
তবে এই প্রবণতা কেন? শিক্ষামহলের মতে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো একটা বড় কারণ। যে উন্নতমানের পরিকাঠামো সেখানে রয়েছে, তুলনায় রাজ্যের বহু সরকারি কলেজে তা নেই। তাছাড়া চাকরির ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে এই সব বিশ্ববিদ্যালয়। প্লেসমেন্ট নিয়ে তাদের পরিকল্পনাও ভিন্ন। পড়াশুনা শেষ করে চাকরি কীভাবে পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারেও কিছুটা হলেও এগিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। সব মিলিয়ে এখন রাজ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও বেশ কয়েকটি এমন বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার প্রস্তাব জমা রয়েছে। ফলে আগামীদিনে রাজ্যে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান খোলা হতে পারে।
তবে দেশের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যার বিচারে অনেকটাই পিছিয়ে রাজ্য। রাজস্থানে (৫০) সবচেয়ে বেশি এমন বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে স্বভাবতই ভর্তির হারও বেশি। তারপরই উত্তরপ্রদেশ (২৯)। এছাড়াও কেন্দ্রীয় তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ভর্তির হারে দেখা যাচ্ছে, প্রায় দুই শতাংশ কিন্তু এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে আগ্রহ দেখিয়েছেন। এই প্রবণতা আগামীদিনে বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।