কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিজেপিতে সংগঠন নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন পিন্টুবাবু। কিন্তু মিড ডে মিলের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক যে ব্রেকফাস্ট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, তা নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ পিন্টুবাবু। তিনি বলেন, বাস্তব জ্ঞান ছাড়া আধিকারিকরা কীভাবে এসব পরিকল্পনা করছেন কে জানে! তিনি বলেন, হাওড়ার যে স্কুলে আমি প্রধান শিক্ষক, সেখানে মিড ডে মিল খাওয়াতে গিয়েই আমাদের পকেট থেকে হাজার দু’য়েক টাকা মাসে বেরিয়ে যায়। প্রাথমিকে মাথাপিছু ৪টাকা ৪৮ পয়সা বরাদ্দ করা হয়। তাতে শুধু চালটা কিনতে হয় না। বাকি তেল, জ্বালানি, সব্জি, ডিম প্রভৃতি সবই কিনতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী, যতজন পড়ুয়া এসেছে, সেটাই হিসেব দেখাতে হবে। কিন্তু কোনওদিন যদি স্কুলের সব পড়ুয়াই চলে আসে, তাহলে কিন্তু ১০০ শতাংশ অর্থ পাওয়া যাবে না। ৮৫ শতাংশের জন্য অর্থ মিলবে। সত্যি বলতে, যা বরাদ্দের অবস্থা, তাতে কিছুটা হিসেবে গরমিল না করলে মিড ডে মিল সুষ্ঠুভাবে চালানো সম্ভবই না। কিন্তু শিক্ষক বা প্রধানশিক্ষকরা এসব করে কেন কালিমালিপ্ত হবেন? মাথাপিছু অন্তত ১০টাকা বরাদ্দ না হলে মিড ডে মিল ব্যবস্থা অচিরেই ভেঙে পড়বে বলে আমার আশঙ্কা।
তিনি বলেন, সম্প্রতি বিডিওর তরফে বলা হয়েছে, কমিউনিটি কিচেন করে ২৫-৩০টি স্কুলের রান্না একসঙ্গে করা হবে। সেই রান্না করা খাবার স্কুলে স্কুলে সরবরাহ করা হবে। সেই পরিকল্পনাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এর ফলে শিক্ষকদের দায়িত্ব লাঘব হবে। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় বাস্তবে এটা কতটা কার্যকর হবে, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। সেই কিচেনগুলিকে আগেভাগে সব্জি কিনে রাখতে হবে। সকাল থেকেই রান্না করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যদি বাচ্চারা না আসে, তাহলে সেই খাবার বাড়তি হয়ে যাবে। তখন তো যে সংস্থা কিচেন চালাবে তাদের ক্ষতি। তারা তখন স্কুলের দ্বারস্থ হবে। স্কুল যদি ছাত্র সংখ্যা বাড়িয়ে না দেখায়, তাহলে সেই ক্ষতি কিচেন সংস্থাকেই বহন করতে হবে। কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে এ ব্যাপারে। দু’পক্ষকেই বরাদ্দ বাড়াতে হবে।