বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বর্ষা বিদায়ের পরিবেশ যে তৈরি হয়ে গিয়েছে, তা অবশ্য মানুষ টের পেতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। দিনের বেলা সামান্য গরম, ভোররাতের দিকে পাখার হাওয়ায় ঠান্ডা লাগলে গায়ে চাদর জড়িয়ে নেওয়ার প্রবণতা থেকেই বর্ষা বিদায়ের আভাস পেতে শুরু করেছে এ রাজ্যের মানুষ। পাশাপাশি দেশের নানা অংশ থেকেও সরে যেতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। রবিবারই উত্তর আরব সাগর, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, ছত্তিশগড়ের নানা অংশ থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পূর্ব এবং মধ্য ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ থেকে সরে যাবে বর্ষা। এমন তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর।
এ বছর পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা ঢুকেছিল বেশ দেরিতে। সাধারণত ৮ জুন রাজ্যে বর্ষার আগমন হয় বলে ধরা হয়। এবার দেখা যায়, উত্তরবঙ্গে কয়েকদিন আগে ঢুকলেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে সময় লেগে যায় ২৩ জুন পর্যন্ত। ঘাটতি নিয়েই চলতি বছর পথচলা শুরু করে বর্ষা। এরপর আগস্ট পর্যন্ত ভরা বর্ষার মরশুমেও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সেভাবে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি। খরা পরিস্থিতির আশঙ্কাও করা হয়েছিল। তবে এই সময়ে উত্তরবঙ্গে অবশ্য দরাজ ছিল বর্ষা। এমনকী বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, কালিম্পং জেলার কিছু অংশে। আগস্টের শেষেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার ঘাটতি ছিল প্রায় ৪৫ শতাংশ। তবে বিদায়বেলার কিছুদিন আগেই বর্ষার মারকাটারি পারফরম্যান্স শুরু হয় দক্ষিণবঙ্গে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে টানা বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় এই সময়ে। উত্তরবঙ্গেও সমানে চলে বৃষ্টিপাত। পুজোর সময়েও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। পুজোয় কমবেশি বিঘ্ন ঘটানোর পর একাদশীর দিন থেকে দু’দিন দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। ফলে ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে আগমনের সময়ে হতাশ করা বর্ষা বিদায়ের সময় খামতি পুষিয়ে দিয়ে গেল বলা চলে।