পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চলতি বছরের শুরুতে এনসিএপি প্রকল্পের সূচনা করে কেন্দ্র। এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছরের। প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের বায়ুদূষণ মাত্রা কমিয়ে আনার লক্ষমাত্রা ধার্য করা হয়। সেই লক্ষ্যেই দেশের ১০২টি শহরকে নিয়ে এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল। যদিও দেশের আরও একাধিক শহরকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে দীর্ঘদিন দাবি করছেন পরিবেশকর্মীরা। দাবিপূরণে চলতি বছরের মাঝামাঝি আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলেন তাঁরা। আদালত সেই তালিকায় আরও ২০টি দূষিত শহরের নাম যুক্ত করার নির্দেশ দেয়। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দ্রুত ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ জমা দিতে বলা হয়েছে।
এনসিএপি’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম ১০২টি শহরের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের শুধুমাত্র কলকাতা ছিল। যদিও কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন বায়ুদূষণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ দীপঙ্কর সাহা বলেন, এ’রাজ্যের আরও একাধিক শহর রয়েছে, যেখানে বায়ুদূষণের সমস্যা রয়েছে। তাই সেগুলিকে এই তালিকায় আগেই যুক্ত করা উচিত ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের। যদিও যে কোনও কারণেই হোক, তা হয়নি। শেষ পর্যন্ত গত আগস্ট মাসে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের (এনজিটি) প্রিন্সিপাল বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, এই তালিকায় আরও ২০টি দূষিত শহরকে যুক্ত করতে হবে। সেই তালিকায় এ’রাজ্যের ছ’টি শহরকে রাখা হয়েছিল। যেগুলি হল— আসানসোল, হলদিয়া, বারাকপুর, দুর্গাপুর, হাওড়া এবং রানীগঞ্জ। এছাড়াও নতুন এই তালিকায় অন্ধ্রপ্রদেশের আটটি, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু এবং উত্তরাখণ্ড থেকে একটি করে শহর রয়েছে। এই শহরগুলির ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ দ্রুত জমা দিতে বলে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। সেই মতো চলতি মাসের মধ্যে ছ’টি নতুন শহরের ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ জমা দেওয়া হবে।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন, ইতিমধ্যে এই অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এই মাসের মধ্যেই তা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দিয়ে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে আগামী বছর থেকেই সংশ্লিষ্ট শহরগুলির বায়ুদূষণ কমানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। প্রসঙ্গত, এনসিএপি প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ সালের মধ্যে বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা (পিএম ২.৫ এবং পিএম ১০) ২০-৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। ২০১৭ সালে দেশের সংশ্লিষ্ট শহরে দূষণের যে মাত্রা ছিল, তাই ২০২৪ সালে ওই পরিমাণ কমানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।