বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
গত ২ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করে পর্যটকদের ভূস্বর্গ ছাড়তে বলে। তারপর থেকেই বাঙালির মন খারাপ। পুজোর ছুটিতে যাঁরা কাশ্মীর যাওয়ার কথা ভাবছিলেন, তাঁদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। পরবর্তীকালে যেভাবে কাশ্মীরে প্রশাসনিক কড়াকড়ি শুরু হয়, তাতে পরিস্থিতি রাতারাতি স্বাভাবিক হবে না বলেই ধরে নেন তাঁরা। সেই মতো কাশ্মীরকে বাদ রেখেই পুজোর প্যাকেজ ঘোষণা করে ট্যুর অপাররেটর সংস্থাগুলি। ফের কাশ্মীর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার পর আবার সেখানে পর্যটক নিয়ে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে তারা।
কলকাতায় জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন দপ্তরের অফিসের কর্তা আসান উল হক বলেন, কাশ্মীরে যে দেশীয় পর্যটকরা বেড়াতে যান, তাঁদের সংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের স্থান দ্বিতীয়। গুজরাতের পরই বাংলার স্থান। পুজোর চারদিনের ছুটিতে যাঁরা কাশ্মীর যেতে পারেননি, তাঁরা এবার সেই সুযোগ পাবেন বলে আশাবাদী তিনি। বলেন, যখন কাশ্মীরের পর্যটন বন্ধ ছিল, তখনও প্রচুর মানুষ সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বহু ভ্রমণপিপাসু মানুষ জানতে চেয়েছেন, কবে দরজা খুলবে কাশ্মীরের? কাশ্মীরে পোস্ট পেড মোবাইল সংযোগ চালু করার সিদ্ধান্ত পযর্টকদের উৎসাহ আরও বাড়াবে বলে আশাবাদী ওই সরকারি কর্তা।
এদিকে, ট্রাভেল এজেন্টস কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি বলেন, ইতিমধ্যেই কাশ্মীরে বেড়ানো নিয়ে প্রচুর মানুষ আমাদের কাছে জানতে চাইছেন। কলকাতার বাইরে রাজ্যের অন্য প্রান্ত থেকেও মানুষ এই বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। তবে কাশ্মীরে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার আগে পরিস্থিতি আরও একটু খতিয়ে দেখতে চান ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন বসু। তিনি বলেন, কাশ্মীর স্বাভাবিক হলে, তার চেয়ে আনন্দের আর কিছু নেই। পর্যটকদের পাশাপাশি আমরাও উৎসাহী হই। কিন্তু শেষবার যখন ট্যুর বাতিল হয়েছে, তখন কিন্তু আমাদের কিছু আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। যে টাকা অগ্রিম দেওয়া ছিল সেখানকার হোটেলে, তার পুরো অঙ্ক আমরা ফেরত পাইনি। কিছু টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। তাই আমরা একটু সাবধান হতে চাই। কয়েকটা দিন অপেক্ষা করে যদি দেখি স্বাভাবিকভাবেই চলছে পর্যটনশিল্প, তাহলে আমরাও সেই মতো পরিকল্পনা করব। তবে কাশ্মীর যখন একবার পর্যটনশিল্প চালু করেছে, সেখানে নিশ্চয় কোনও খুঁত না রেখে সামগ্রিকভাবেই তারা ঝাঁপাবে বলেই মনে হয়। সেক্ষেত্রে বাঙালিরাও খুশি হবেন।