গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের ধারণা, রাজ্য সরকার আমাদের এই কর্মসূচিতে বাধা দেবে না। কারণ, এর সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর নাম জড়িয়ে রয়েছে। রাজ্যের যে যে প্রান্ত দিয়ে আমাদের এই সঙ্কল্প পদযাত্রা যাবে, স্থানীয় প্রশাসনকে তা জানানো হবে। পাশাপাশি যাত্রাকালে প্রতিদিনই সন্ধ্যায় একটি করে জনসভার আয়োজন করা হবে বলেও জানান মেদিনীপুরের বিজেপি এমপি। সেক্ষেত্রে ওই সভার জন্য প্রশাসনিক অনুমতি নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেশজুড়ে বিবিধ কর্মসূচি নিয়েছে কেন্দ্রের সরকার এবং শাসকদল বিজেপি। গত ২ অক্টোবর জাতির জনকের জন্মদিন থেকে শুরু করে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান চলবে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গান্ধীজির নামে সঙ্কল্প যাত্রা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ওই সময় দুর্গাপুজো পড়ে যাওয়ায় কর্মসূচি কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির তরফে গোটা কর্মসূচিকে অরাজনৈতিক আখ্যা দেওয়া হলেও তাতে পুরোদস্তুর গেরুয়া ছোঁয়া থাকছে। দিলীপবাবু এদিন স্পষ্ট জানান, প্রত্যেক লোকসভা কেন্দ্র থেকে একটি পদযাত্রা বের হবে। সুসজ্জিত ট্যাবলোতে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি থাকবে ভারতীয় জনতা পার্টির দলীয় পতাকা। বাজবে জাতীয়তাবাদী সঙ্গীত। বিজেপির এই কর্মসূচিকে সরাসরি ভণ্ডামি আখ্যা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তাঁর কথায়, কয়লাকে যতই সাফ করা হোক, তা সাদা হয় না। সেরকমই বিজেপির অতীত-বর্তমান কখনওই গান্ধীর আদর্শ-ভাবনার সমার্থক হবে না। বাংলায় তৃণমূলের প্রতি সাধারণ মানুষের জনবিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে সস্তা রাজনীতিতে নেমেছে বিজেপি। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হবে না। এ প্রসঙ্গে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর দাবি, মহাত্মা গান্ধীর ছবি স্পর্শ করার অধিকার নেই ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাদের। কেননা, ওই দলের এক সদস্যই জাতির জনককে হত্যা করেছিলেন। তাই আগামী ১৫ থেকে ২৬ অক্টোবর রাজ্যজুড়ে বিজেপিকে লজ্জা দিবস পালন করার পরামর্শ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।