পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চলতি খরিফ মরশুমে সরকারি উদ্যোগে প্রায় ৪০ লক্ষ টন ধান কেনা হয়েছে। এবারও লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ লক্ষ টন। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য জানিয়েছেন, রেশন দোকান, মিড ডে মিল প্রকল্পে সরবরাহ করার জন্য পর্যাপ্ত চাল মজুত আছে। যে ধান সংগ্রহ করা হয়েছে, তা দিয়ে আগামী কয়েক মাসের চাহিদা মেটানো যাবে। ৪০ লক্ষ টনের বেশি ধান সংগ্রহ হলে বরং অতিরিক্ত চাল নিয়ে সমস্যা তৈরি হত। চাল বেশিদিন মজুত করে রাখলে তার গুণমানও নষ্ট হয়।
আগামী খরিফ মরশুমে ধান সংগ্রহ নিয়ে প্রস্তুতির কাজ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে খাদ্য দপ্তর। একাধিক বৈঠক হয়ে গিয়েছে। নভেম্বর মাস থেকে নতুন মরশুম শুরু হলেও নতুন ধান বেশি পরিমাণে উঠতে শুরু করে ডিসেম্বর থেকে। তাই ডিসেম্বর থেকে ধান সংগ্রহের মাত্রা বাড়ে। নতুন ধান ওঠার পর নগদ টাকার প্রয়োজনে ছোট ও প্রান্তিক চাষিরা দ্রুত তাঁদের ধান বিক্রি করতে চান। ফলে এই সময় ধানের দাম কমে যায়। কৃষকরা তখন যাতে অভাবী বিক্রি করতে বাধ্য না হন, সেদিকে বিশেষ নজর রাখে সরকার।
নতুন মরশুমে ধানের সংগ্রহমূল্য কিছুটা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি মরশুমে সাধারণ মোটা ধান ১৭৫০ টাকা কুইন্টাল দরে কিনেছিল সরকার। এবার তা ৬৫ টাকা বেড়ে ১৮১৫ টাকা হচ্ছে। কিষাণ মান্ডিগুলিতে যে স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্রগুলি চলবে, সেখানে বিক্রি করলে রাজ্য সরকার বোনাস হিসেবে কুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত ২০ টাকা করে দেবে। স্থায়ী কেন্দ্রের বাইরে অস্থায়ী ক্যাম্প খুলে সরকার ধান কেনে। বেনফেড, কনফেড, ইসিএসসি-র মতো সরকারি সমবায় সংস্থাগুলিকে দিয়ে ধান কেনানো হয়। গত কয়েক বছর ধরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে এই কাজে নামানো হয়েছে। গোষ্ঠীগুলি প্রত্যন্ত গ্রামে ঢুকে শিবির খোলে। এবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা আরও বাড়াতে চাইছে খাদ্য দপ্তর। এনিয়ে পঞ্চায়েত দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
ছোট ও প্রান্তিক কৃষকরা যাতে সরকারি দামে ধান বিক্রি করতে পারেন, তার জন্য ধান সংগ্রহের ঊর্ধ্বসীমা বেধে দেওয়া হয়। গত কয়েক বছর ধরে কৃষক পিছু ৯০ কুইন্টাল সর্বোচ্চ সীমা বাধা আছে। কৃষকের নাম করে ফড়েরা যাতে সরকারি দামে ধান বিক্রি করতে না পারে, তার জন্য এবার তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫০ লক্ষ কৃষক কৃষকবন্ধু প্রকল্পে সরকারি অনুদান নিয়েছেন। খাদ্য দপ্তর ওই কৃষকদের তালিকা সংক্রান্ত তথ্য ভাণ্ডার কৃষি দপ্তরের কাছ থেকে নিয়েছে। কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপক কৃষকরা কতটা ধান বিক্রি করলেন, তা কম্পিউটারে নথিভুক্ত হয়ে যাবে। একাধিক জায়গায় গিয়ে ধান বিক্রি করলেও ধরা পড়ে যাবে। এর পাশাপাশি কিষাণ কার্ড, জমির মালিকানার কাগজ দেখাতে হবে। কোনও ভাগচাষি ধান বিক্রি করতে গেলে তাঁকে লিখিতভাবে জানাতে হবে, নিজের জমিতে উৎপাদিত ধান তিনি বিক্রি করছেন। ভাগচাষির জমির মালিককেও লিখিতভাবে এটা জানাতে হবে।