কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, দলের নেতা-কর্মীরা আরও বেশি জনসংযোগে নেমে পড়ুন। দিদিকে বলো কর্মসূচি প্রথম পর্যায়ে সফল হওয়ায় এবার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করতে চায় তৃণমূল। শুধু বিধায়করা নন, ব্লকস্তরের নেতারাও তাঁদের এলাকায়ও দিদিকে বলো কর্মসূচি পালন করছেন। তাতে ভালোই সাড়া পাচ্ছেন। এবার সেই কর্মসূচিকেই আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চান মমতা। তার জন্য রাজ্যে তৃণমূলের প্রায় ৪০০টি ব্লকের এবং ১২৭টি টাউন কমিটির সভাপতিকে ডাকা হয়েছে। থাকবেন জেলা সভাপতিরাও। সেখানে দলের সভাপতি সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও থাকবেন।
গত এক মাস ধরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অধিকাংশই দুর্গাপুজোয় ব্যস্ত ছিলেন। সামনে কালীপুজো রয়েছে। এরই মধ্যে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দলকে আরও চাঙ্গা করতে চান তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনেও নামতে চান। ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ, বিএসএনএল সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাগুলিকে বিক্রির প্রতিবাদে আগামী ১৮ অক্টোবর শিয়ালদহ থেকে ফেয়ারলি প্লেসে রেলের অফিসের সামনে পর্যন্ত মিছিল করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের নিয়ে সভা করেছেন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। সেখানেই ওই কর্মসূচি ঘোষণা করেন মমতা।
কালীপুজোর পরে দলকে পুরোদমে মাঠে নামাতে চান তৃণমূল সুপ্রিমো। কারণ, আগামী বছর এপ্রিল-মে মাসে রাজ্যে ১০৫টি পুরসভার ভোট রয়েছে। তার আগে দলকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে চান তিনি। যাতে কোনওভাবেই গেরুয়া শিবির প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। সেই সঙ্গে যেসব এলাকায় গত লোকসভা ভোটে বিজেপি ভালো ফল করেছিল, সেখানে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্য দলীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজেপি বা আরএসএস যেভাবে নানা ধরনের অপপ্রচার করছে, তার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে নির্দেশ দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের জনমুখী কর্মসূচি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে, মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে, মানুষের সমস্যার শুনে তার সমাধান করার জন্য চেষ্টা করতে বলা হচ্ছে। এ কারণেই রাজ্যের সব ব্লক, টাউন, জেলা সভাপতি, বিধায়কদের ডাকা হয়েছে। আগামীদিনে কী করা উচিত, তার পাঠ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।