বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন সূর্যবাবু বলেছেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি চাকরিপ্রার্থীর অ্যাকাডেমিক, টেট পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে মেধা তালিকায় তার স্থান প্রকাশ করার কথা। কিন্তু প্রকাশিত তালিকায় দেখা যাচ্ছে, সেখানে অনেক প্রার্থীর রহস্যজনকভাবে অ্যাকাডেমিক ও টেট-এ প্রাপ্ত নম্বর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ নিয়ে এসএসসি কর্তৃপক্ষ কোনও বিশ্বাসযোগ্য তথা যথাযথ কারণ দেখাতে পারছেন না। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ মেনে ইন্টারভিউয়ে বসা সকল প্রার্থীরই নাম মেধা তালিকায় থাকার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। সর্বোপরি, বহু সংখ্যক প্রার্থীর অ্যাকাডেমিক, টেট এবং ইন্টারভিউয়ে প্রাপ্ত নম্বর একই, যা দেখে সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে। এই অবস্থায় নিয়োগ দুর্নীতি বন্ধে ও স্বচ্ছতার স্বার্থে ভুক্তভোগী সকল প্রার্থীকে তাদের অভিযোগ জানানোর সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে। বাম যুব মোর্চার তরফে ইন্দ্রজিৎ ঘোষ এদিন বলেন, গোটা বিষয়টির পিছনে আমরা ‘ব্যাপম দুর্নীতি’র ছায়া দেখছি। নম্বর বেড়ে যাওয়ার জন্য কমিশন কর্তৃপক্ষ ‘টেট ওয়েটেজ’-এর যে হিসেব দিচ্ছেন, তার কোনও ভিত্তিই নেই। সর্বোপরি, মেধা তালিকায় সংরক্ষণ ও ভ্যাকান্সি রেশিও লঙ্ঘন করা হয়েছে। অন্তত এক হাজার চাকরি প্রার্থী এ নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে কমিশন তা গ্রহণ করতে চাইছে না। এ নিয়ে বৃহস্পতি ও শুক্রবার কমিশনের সামনে বিক্ষোভ পরিস্থিতিও তৈরি হয়। সমস্যার সমাধানে কমিশনের চেয়ারম্যান বা সেক্রেটারির সঙ্গে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হতে হয়েছে আমাদের। এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে বিষয়টি নিয়ে আমাদের ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে।