বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস আরও জানতে পেরেছে, বন্ধুপ্রকাশবাবু কয়েক দফায় ওই যুবককে ছ’লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন। এছাড়া জলের বটলিং প্ল্যান্ট খোলারও জন্য এই যুবককে আরও কিছু টাকা দিয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে ওই টাকা ফেরতের জন্যও চাপ দিতে থাকেন। তা নিয়ে উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। অর্থাৎ, পরকীয়ার পাশাপাশি টাকার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস। যদিও কলকাতা থেকে প্রতিনিধির খবর, রাজ্য পুলিস এক প্রেস বিবৃতিতে বলেছে, ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বন্ধুপ্রকাশবাবুর স্ত্রীর লেখা চিঠিতে পরিস্কার, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। বহু সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে বোঝা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির আরএসএসের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। তাঁর দিদি বন্ধুপ্রিয়া পালও আরএসএস-যোগের কথা অস্বীকার করেছেন। এক আত্মীয় দীপ্তিমান সরকারকে আরএসএস পরিচয় দিয়ে কলকাতা থেকে দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করে টাকা দিতে চান বলে পুলিস দাবি করেছে। তবে তাঁর পরিবার সেই অর্থসাহায্য নিতে অস্বীকার করে।
লালবাগ মহকুমার পুলিস আধিকারিক বরুণ বৈদ্য এদিন রামপুরহাটের ওই যুবকের বাড়িতে অভিযানে যান। তাকে সেখানে না পেয়ে বোলপুরের একটি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তবে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই যুবকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। সুপারি কিলার দিয়ে ওই দম্পতিকে খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার আগে আততায়ী বহুবার এলাকায় এসে রেকি করে যায়। জিয়াগঞ্জের বাসিন্দা আল্পনা মণ্ডল বলেন, তখন বাড়িতে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি, এক যুবক গেঞ্জি খুলে পুকুরের জলে ফেলে দিচ্ছে। এত বড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তখনও বুঝতে পারিনি।
বন্ধুপ্রকাশবাবুর বাড়িতে কাজ করতেন সুধা দাস নামে এক বৃদ্ধা। তিনি বলেন, ওঁদের বাড়ির দরজা সবসময় ভিতর থেকে বন্ধ থাকত। ওই দিন পরিচিত কেউ এসেছিল। সে-ই ডেকে দরজা খুলিয়েছিল। পুলিস জেনেছে, মাঝেমধ্যে বাড়িতে ‘ফিস্ট’ হতো। তবে তাঁরা পাড়ার কারও সঙ্গে মিশতেন না। এক পুলিস অফিসার বলেন, খুনের পরদিনই ৩ জনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের জেরা করে রামপুরহাটের যুবকের নাম পাওয়া গিয়েছে। সে ফেরার। মোবাইলেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। পুলিসের দাবি, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং টাকা হাতানোর জন্যই এই খুন। তবে অতিরিক্ত এসপি তন্ময় সরকার মন্তব্য করতে চাননি।