গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার নারকেলডাঙার গিরীশ বিদ্যা লেনের বাসিন্দা ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল হিন্দু শাস্ত্রমতে। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে নানা বিষয় নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। এদিকে, ওই শিশুকন্যাও ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠতে থাকে। পরবর্তী সময় ওই দম্পতি আলিপুর জজ কোর্টে বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করে। সেই মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পর ওই দম্পতি পৃথকভাবে থাকতে শুরু করে। কিন্তু কিশোরী কার কাছে থাকবে, তা নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। পরবর্তী সময় ওই কিশোরী দাদুর কাছেই মানুষ হতে থাকে। এদিকে, দাদুর কাছে নাতনির খরচ চালানো দুষ্কর হয়ে ওঠে। এরপর তিনি গত বছর কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে নাতনির খরচ চালানোর জন্য শিয়ালদহ কোর্টে খোরপোশের মামলা দায়ের করেন। ওই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করেন বাবা। তাঁর যুক্তি, এই আবেদন অর্থহীন। তাই এটি বাতিল করা হোক। এরপরই বিচারক বাবার আবেদন নাকচ করে দেন। আদালতের বক্তব্য, দাদু যে আবেদন করেছেন, তার সারবত্তা আছে। সরকারি আইনজীবী মিঠু দাসের বক্তব্য, আদালত কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ওই কিশোরীর মানসিক অবস্থা অনুধাবন করেছেন বিচারক। সেই কারণেই তিনি এই ‘মানবিক’ রায় দিয়েছেন। একই বক্তব্য শিয়ালদহ কোর্টের আইনজীবী অরুন্ধতী বসু ধরের। তিনি বলেন, গত তিন মাসে এই কোর্ট এমন একাধিক মামলার রায় দিয়েছেন। ফলে বিচারপ্রার্থীরাও ন্যায়বিচার পাচ্ছেন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারক গোপাল সরকার বলেন, আদালত চুপ করে বসে থাকতে পারে না। এক্ষেত্রেও যেটা ন্যায় বলে মনে হয়েছে, সেটাই করেছেন সংশ্লিষ্ট বিচারক।