বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
চা বাগানের শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে টানাপোড়েন চলছে। তরাই ও ডুয়ার্সের চা বাগানগুলির শ্রমিকদের ১৮.৫ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ার বিষয়টি ফয়সালা হলেও পাহাড়ের চা বাগানের শ্রমিকদের বোনাসের বিষয়টি নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়। পাহাড়ের চা বাগানের শ্রমিকদের ২০ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ার দাবিতে অবিচল ছিল শ্রমিক সংগঠনগুলি। মালিকপক্ষ চাইছিল পাহাড়ের চা বাগানের শ্রমিকদের ১৮.৫ শতাংশ হারে বোনাস দিতে। এদিনের বৈঠকেও তাদের পক্ষ থেকে সেটাই বলা হয়। শ্রমমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, তরাই-ডুয়ার্স এবং পাহাড়ের সব চা বাগানে নীতিগতভাবে একই হারে বোনাস দেওয়া উচিত। তবে পাহাড়ের বিশেষ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এবারের মতো বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে অন্তত ২০ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ার জন্য তিনি মালিকপক্ষকে অনুরোধ করেন। এরপর ২০ শতাংশ বোনাস দেওয়ার ব্যাপারে ঐকমত্য তৈরি হয়। তবে পাহাড়ের চা বাগানগুলি গত আর্থিক বছর থেকে খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলার বিষয়টিকে বিবেচনা করে বোনাস কয়েকটি কিস্তি দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়।
পাহাড়ের চা বাগানগুলির শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিউ সেক্রেটারিয়েটে হওয়া বৈঠকটি ব্যর্থ হয়েছিল। ওই বৈঠকে শ্রমিক সংগঠনগুলি অন্তত ১৯ শতাংশ হারে বোনাস দাবি করে। যেখানে মালিকপক্ষ মাত্র ১৫ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। ওই বোনাসও কিস্তিতে দেওয়ার কথা বলে মালিকপক্ষ। পাহাড়ের চা বাগানগুলির কম হারে উৎপাদন ও লোকসানের কারণে বোনাস বাড়ানোর পক্ষপাতী ছিল না মালিকপক্ষ। ওই বৈঠকে কোনও মীমাংসা না হওয়ায় ঠিক হয়, পুজোর পর ১৭ অক্টোবর ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে। কিন্তু পাহাড়ের চা বাগানের শ্রমিকদের বোনাসের ইস্যু নিয়ে সেখানে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকে বোনাস নিয়ে চলতে থাকা টানপোড়েনের অবসান করা হল। আইএনটিটিইউসি’র রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেন জানিয়েছেন, আলোচনার ভিত্তিতে বোনাস নির্ধারিত হওয়ায় তাঁরা খুশি।