বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
যাত্রাশিল্পী মিতালি চক্রবর্তী বলেন, ষষ্ঠীর দিন থেকেই আমরা শুরু করেছি আমাদের এ বছরের যাত্রাপালা। ইতিমধ্যেই ভালো বায়না হয়েছে। আমরা খুশি। পুবালি বসু, রুমা দাশগুপ্ত, অরিন্দম ভট্টাচার্য প্রমুখ শিল্পীর বক্তব্য, গত বছরের তুলনায় এবার তাঁদের অপেরা ভালোই বায়না পেয়েছে। এখন প্রতিদিনই বিভিন্ন জেলা থেকে উদ্যোক্তারা আসছেন বায়না করতে। যাত্রাই হল আমাদের অন্ন বস্ত্রের একমাত্র সংস্থান। সেখানে পালার বায়না কম এলে, আমাদের চলবে কী করে? কী করেই বা অপেরা চলবে? তাঁদের বক্তব্য, এখন এই শিল্পের খরা অনেকটাই কেটেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন অপেরা ভালোই বায়না পাচ্ছে।
চিৎপুরের কয়েকজন অপেরা কর্তা বলেন, গত বছরও কোনও কোনও পালা ৫০, ৬০, এমনকী ৭০ রজনীও অতিক্রম করেছে। এক শিল্পীর কথায়, যে যাত্রাপালা সব থেকে বেশি রজনী অতিক্রম করে, সেই অপেরাকে সম্মানিত করে যাত্রা অ্যাকাডেমি। অ্যাকাডেমির সদস্য তথা অপেরা কর্তা কনক ভট্টাচার্য বলেন, এবার রথযাত্রার দিন বাগবাজার ফণীভূষণ বিদ্যাবিনোদ মঞ্চের কাছে স্টল দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন উদ্যোক্তা এসে অপেরা কর্তাদের কাছে যাত্রার বুকিং করে গিয়েছেন। সেখানে তাঁদের কয়েকটি পালার ভালোই বুকিং হয়েছে। তিনি বলেন, পুজোর সময় আমরা ভালো সাড়া পেয়েছি। আশা করছি, আগামীদিনেও এভাবে সাড়া পাব। সব মিলিয়ে এবারের পুজো মরশুমে ভালো সাড়া পাওয়ায় খুশি এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সবাই। তবে অনেকেরই বক্তব্য, এবার নবমী ও দশমীর দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় মাথায় হাত পড়েছিল অনেকের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আকাশ বিমুখ না হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন যাত্রাশিল্পীরা।