বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন দুপুরে রেড রোডে গিয়ে দেখা যায়, গোটা রাস্তা জুড়ে কার্নিভালের জন্য বিস্কুট ও পোড়ামাটির রংয়ে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। ৮৪ ফুট লম্বা ও ২৪ ফুট চওড়া মাপের মূল মঞ্চ হয়েছে দুটি। রেড রোডের পূর্ব দিকের মঞ্চে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। সেই মঞ্চটিতে পুরো টেরাকোটার কাজে বাংলার শিল্প-সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। মঞ্চটি বানানো হয়েছে ঠাকুরদালানের ধাঁচে। যার দেওয়ালে রয়েছে ব্যাকলিট গ্লোসাইন আলো দিয়ে লেখা, ‘পুজোর কার্নিভাল’, বিসর্জনের বিশেষ শোভাযাত্রা। পাশে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও বিশ্ববাংলা লোগো। এই মঞ্চে থাকবে ৩৭টি চেয়ার। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল ছাড়াও বসবেন বিশেষ সেলিব্রিটি অতিথিরা। উল্টোদিকের একইরকম মঞ্চে বসবেন বিদেশি অতিথি-অভ্যাগতরা। সেখানে ৩২ বা ৮ ফুটের এলইডি স্ক্রিন রয়েছে। গোটা রেড রোডে ১২টি এলইডি লাগানো হয়েছে। গোটা মঞ্চ তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন ফিল্ম আর্ট ডিরেক্টর তন্ময় চক্রবর্তী। যিনি ১২৫টি সিনেমার সেট তৈরি করেছেন। বিশেষ আলোয় সেজে উঠেছে রাজধানীর কেন্দ্রস্থল। এদিন দুপুরে প্রস্তুতি দেখে যান পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
এদিন থেকে প্রতিমা আসতেও শুরু করেছে রেড রোডে। প্রথম আসে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের একডালিয়া এভারগ্রিনের প্রতিমা। আজ বেলা দু’টোর মধ্যে সব প্রতিমা, ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও শিল্পীরা চলে আসবেন। শোভাযাত্রার শুরুতে থাকবে কলকাতা পুলিসের টর্নেডো বাহিনী। রাজ্যপালের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনেকটা অম্লমধুর সম্পর্ক। ইতিমধ্যে তাঁর অতিসক্রিয়তায় খুশি নন সরকারের কর্তাব্যক্তিরা। এরই মধ্যে কার্নিভালে তাঁর উপস্থিতি অন্য মাত্রা দেবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাঁর পরিবার-পরিজনদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা থাকছে। থাকবেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষ যাতে বসতে পারে, তার জন্য চেয়ার পাতা হয়েছে। তাছাড়া অসংখ্য চ্যানেল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজে লাইভ হবে অনুষ্ঠানটি। সব মিলিয়ে পুজো শেষে আর এক উৎসবের অপেক্ষায় কলকাতা।