কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যাঁরা বনজ সম্পদ সংগ্রহ করেন তাঁদের আয় আরও ভালো করা। ওই প্রকল্পে ওই সব বনজ সম্পদ বাজারজাত করতে বাজারগুলিকে আরও উন্নত করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। হাট-বাজারকে উন্নত করা হচ্ছে। সেগুলিতে আচ্ছাদন, পানীয় জলের ব্যবস্থা, গোডাউন নির্মাণ করা হচ্ছে। ল্যাম্প বা সঙ্ঘ সেগুলো সংগ্রহ করবে। তারপর তা সরকার কিনে নেবে। কেনার সময় সেখানেই সংগ্রহকারীদের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। সেই সব বনজ সম্পদে আরও কিছু সংযোজন করে সেগুলিকে বাজারের জন্য ‘প্রসেসিং’ করে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হবে। তারপর তা সরকারি উদ্যোগে বিক্রি করা হবে। সেই লভ্যাংশ তফসিলি উপজাতিদের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। যেগুলিতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, তেঁতুল, মহুয়া পাতা, হরিতকী, নীম বীজ, বহেড়া, বেল, কালমেঘ, আমলকী। নির্ধারিত দর অনুযায়ী, তেঁতুল বিক্রি করতে হবে কমপক্ষে প্রতি কেজিতে ৩১ টাকা, শাল বীজ কমপক্ষে ২০ টাকা, মহুয়া বীজ ২৫ টাকা, হরিতকী কমপক্ষে ১৫ টাকা। এছাড়া নীম কমপক্ষে ২৩ টাকা, বহেড়া ১৭ টাকা, বেল কমপক্ষে ২৭ টাকা, কালমেঘ ৩৩ টাকা, আমলকী ৪৫ টাকা, শাল পাতা ৩০ টাকায় কেনা হবে। যে মরশুমে যেসব বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা হয় সেই সময় সেগুলি কেনা হবে। শাল পাতা পাওয়া যায় এপ্রিল থেকে জুন ও অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে। হরিতকী পাওয়া যায় জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত। বহেড়া পাওয়া যায় নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত। রাজ্যে ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রাইবাল ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন লিমিটেডের এক আধিকারিক জানান, তাঁদের সমবায়ের মাধ্যমে এই প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। শাল বীজ বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২০ টাকা প্রতি কেজিতে। আসলে তা ফড়েরা কিনে নেয় মাত্র ৫/৬ টাকায়। ফলে অনেক বেশি টাকা পাবেন বনজ সম্পদের সংগ্রহকারীরা।