পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতার দাবি, দলের ইতিহাসে বাংলা থেকে ১৮টি লোকসভা আসন আগে কখনও আসেনি। রাজ্যে বিজেপির জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। স্বভাবতই প্রধানমন্ত্রী নিজেও চাইছেন বঙ্গবাসীকে কৃতজ্ঞতা ফিরিয়ে দিতে। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে রাজ্য পার্টিতে সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে। এই মুহূর্তে মণ্ডল স্তরে নির্বাচন চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নভেম্বরের মাঝামাঝি রাজ্য নেতৃত্বের নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আগামী মাসের শেষের দিকে ব্রিগেড করাই যেতে পারে। যদিও এ প্রসঙ্গে আন্দামান থেকে ফিরে বুধবার দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, শিবপ্রকাশজির সঙ্গে হওয়া বৈঠকে আমি ছিলাম না। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন বাংলা সফর সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। তবে রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ দিতে খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কলকাতায় আসবেন বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে দলের অপর এক নেতা জানান, লোকসভা ভোটের সময় মাত্র ১৫ দিনের প্রস্তুতিতে আমরা ব্রিগেড করেছিলাম। ওই দিন শিলিগুড়িতেও প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ছিল। স্বভাবতই উত্তরবঙ্গ থেকে কর্মী-সমর্থকদের আনা যায়নি। তাতেও কলকাতায় প্রধানমন্ত্রীর মেগা র্যা লি সফল হয়েছিল। বর্তমানে আমাদের সাংগঠনিক শক্তি আরও কয়েকগুণ বেড়েছে। ফলে আয়োজন ঘিরে কোনও সমস্যা নেই। আমরা কেবল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় রয়েছি। এদিকে, বাংলায় ব্রিগেড সংস্কৃতি বদলাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। অতীতে বাম-তৃণমূল সহ তামাম রাজনৈতিক দল নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে দিনের বেলায় ব্রিগেড আয়োজন করেছে। তবে বিজেপির রাজ্য নেতাদের মাথায় ঘুরছে, বিকেল কিংবা সন্ধ্যার দিকে ব্রিগেড করা। যদিও এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) সূর্যাস্তের পর আদৌ ভিভিআইপি’কে সভা করার অনুমতি দেয় কি না, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। যদিও ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে এ ধরনের বহু মেগা রাজনৈতিক সমাবেশ রাতেই হয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে খোদ তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চন্দ্রবাবুর সমর্থনে তেলুগু দেশম পার্টির হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশে প্রচারে সভা করেছিলেন।