পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সারদা মামলায় রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়ে দেয়, রাজীব কুমার তদন্তে অসহযোগিতা করেননি। এরপরই জামিন নিশ্চিত করতে দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে থাকা প্রাক্তন নগরপাল বৃহস্পতিবার সটান হাজির হন আলিপুর আদালতে। তাঁর চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট ছিল।
এদিকে, রাজীবের আগাম জামিন মেলার পরই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই। দিল্লির শীর্ষকর্তাদের কাছে রায়ের কপি পাঠানো হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীরা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন। তারপরই সদর দপ্তর থেকে সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আবেদন জানানোর নির্দেশ আসে। সূত্রের খবর, সেই মতো তদন্তকারী অফিসাররা পিটিশন জমা দিয়েছেন।
এর আগে দেশের শীর্ষ আদালতে রাজীব মামলার দীর্ঘদিন শুনানি হয়েছে। সারদা তদন্তে কীভাবে অসহযোগিতা করেছেন রাজীব কুমার, তার লিখিত হলফনামা জমা দেওয়া হয় সিবিআইয়ের তরফে। কিন্তু গ্রেপ্তার করা যাবে না এই রক্ষাকবচ দিয়ে রাজীবকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে নির্দেশ দেয় আদালত। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিলংকে বেছে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়ে জানান, তিনি সিটের দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখভাল করতেন না। সিটের প্রধানও তিনি ছিলেন না। তাঁর এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সুপ্রিম কোর্টের কাছে সমস্ত তথ্য তুলে ধরা হয়। এরপরই রাজীবের রক্ষাকবচ তুলে দেয় শীর্ষ আদালত। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল। প্রথমে হাইকোর্ট তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়ে জেরার মুখোমুখি হতে বলে। নোটিস পেয়ে তিনি হাজির হন সিবিআই দপ্তরে। দীর্ঘ শুনানির পর হাইকোর্টও রক্ষাকবচ তুলে দিয়ে জানায়, তাঁকে প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করতে পারে সিবিআই।
এরপরই আগাম জামিনের আর্জি নিয়ে রাজীব প্রথমে বারাসত এমপি-এমএলএ আদালতে এবং পরে বারাসত জেলা জজ কোর্টে যান। কিন্তু তারা মামলা ফিরিয়ে দেয় আলিপুর নিম্ন আদালতে। এর মাঝে তাঁর গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন জানিয়ে বসে সিবিআই। নিম্ন আদালত রাজীবের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে। আলিপুর জেলা জজও একই রায় বহাল রাখেন। এরপরই রাজীব কুমার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। এই বেঞ্চ তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করে।