কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের পুজো বলে পরিচিত হাতিবাগান সর্বজনীনের শারদোৎসবের সূচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ করেন চেতলার পুজো পরিক্রমা দিয়ে। ৫৬টির বেশি পুজো তিনি উদ্বোধন করেছেন। শুধু তৃণমূল সুপ্রিমো নয়, উদ্বোধক হিসেবে এবার পুজোকর্তাদের কাছে ভলো চাহিদা ছিল ফিরহাদ হাকিম, শুভেন্দু অধিকারী, অরূপ বিশ্বাসের। শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ৪০০ আমন্ত্রণপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে বর্ধমান, হাওড়া, কলকাতা, দুই মেদিনীপুর মিলিয়ে ছ’টি জেলায় ৪৫টি পুজো উদ্বোধন করেন। তাঁর কথায়, সব জায়গায় গেলে ভালো লাগত। কিন্তু সময়ের অভাবে সব জায়গায় পৌঁছতে পারলাম না। তবে খড়্গপুরের সব চেয়ে বড় দশেরাতে হাজির থাকব।
মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের দুই সেনাপতি ববি হাকিম ও অরূপ বিশ্বাস পুজো উদ্বোধনে অনেক বিজেপি নেতাকে পিছিয়ে দিয়েছেন। দু’জনেই একশোর বেশি পুজো উদ্বোধন করেছেন। অরূপ বিশ্বাস মহালয়ার দিন থেকে টালিগঞ্জ, যাদবপুর ও সোনারপুর চষে বেড়িয়েছেন। তিনি ১৫৬টি পুজোমণ্ডপে গিয়েছেন। এবার কালীঘাটের সঙ্ঘশ্রী ক্লাবের পুজো দখলের চেষ্টা করেও পিছিয়ে আসে গেরুয়া শিবির। ভিন্ন ধর্মের হলেও মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে দিয়ে পুজো উদ্বোধনের চাহিদা ছিল এবার ভালো। শুধু কলকাতা নয়, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান থেকে বহু পুজোর উদ্বোধনের জন্য তাঁর কাছে আমন্ত্রণ আসে। ফিরহাদ হাকিমের কথায়, দুর্গোৎসব সকলের। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমি ছোটবেলা থেকেই পুজো করি। এছাড়াও পুজো উদ্বোধনে চাহিদা রয়েছে অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের। সিপিএম নেতাদের মধ্যে একমাত্র উত্তর দমদমের বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যকে বরানগরের ন’পাড়া দাদাভাই সঙ্ঘের পুজো উদ্বোধনে ফিরহাদ হাকিমের পাশেই দেখা গিয়েছে।
তবে গেরুয়া শিবির অনেক ঢাকঢোল পেটালেও বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রনমন্ত্রী অমিত শাহকে দিয়ে মাত্র একটি পুজো উদ্বোধনের ব্যবস্থা করতে পেরেছে। সেটি হল, সল্টলেকের বি জে ব্লকের পুজো। ওই পুজোকমিটির সভাপতি উমাশঙ্কর ঘোষদস্তিদার দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির স্থানীয় নেতা বলেই পরিচিত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শহরে ১৩-১৪টি পুজোর উদ্বোধন করেছেন। তবে মেদিনীপুরে বেশ কিছু পুজোর উদ্বোধন করেছেন তিনি। তাঁর মতোই দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ও বাবুল সুপ্রিয় নিজেদের কেন্দ্রে পুজোমণ্ডপ উদ্বোধন করেছেন। তবে তৃণমূল নেতাদের তুলনায় সংখ্যায় অনেক কম। সংসদ সদস্য লকেট চট্টোপাধ্যায়ও বেশ কিছু পুজো উদ্বোধন করেন। শহরে সেভাবে প্রভাব বিস্তার না করলেও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পুজোর আয়োজনে এগিয়ে এসেছে গেরুয়া শিবির। যে ১৮টি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জিতেছে, সেখানে কিছু পুজোর উদ্বোধন করেছেন তাদের স্থানীয় সংসদ সদস্যরা। তবে তৃণমূলকে টেক্কা দিতে পারেনি। বাঙালির শ্রেষ্ঠ দুর্গোৎসবকে ঘিরেও রাজনৈতিক তরজা চলছে জোরকদমে। তবে ‘দখলের রাজনীতিতে’ এগিয়ে রইল তৃণমূলই।