পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চিট ফান্ড আটকাতে রাজ্য সরকার চালু করেছিল সেফ সেভিংস স্কিম। ব্যাঙ্কের সঙ্গে যৌথভাবে ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে ওই স্কিম চালু করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। টাকা জমা রাখার ওই স্কিমটি. জনপ্রিয় করতে এজেন্টদের উপর ভরসা রেখেছিল রাজ্য। যাঁরা পোস্ট অফিসে স্বল্প সঞ্চয়ের কাজে যুক্ত আছেন, তাঁরা যাতে রাজ্যের ওই স্কিমটিরও বিপণনে এগিয়ে আসেন, তার জন্য কমিশন প্রথাও শুরু করেছিল রাজ্য। একই সঙ্গে এজন্টেদের বলা হয়েছিল, তাঁদের সচিত্র পরিচায়পত্র দেওয়া হবে, যাতে গ্রাহক জোগাড় করতে কোনও অসুবিধা না হয়। কিন্তু স্কিমটি কয়েক বছর চালানোর পর, তা বন্ধ করে দেওয়ায় রাজ্য সরকার আর ওই পরিচয়পত্র নিয়ে মাথা ঘামায়নি।
ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক সমীর মুখোপাধ্যায় বলেন, সচিত্র পরিচয়পত্রটি যে দরকারি, তা সেফ সেভিংস স্কিম চালু করার সময় মেনে নিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই স্কিম বন্ধ হওয়ায়, আমাদের দাবিও বিশ বাঁও জলে। আমরা বিষয়টি নিয়ে দিল্লি পর্যন্ত গিয়েছি। সেখানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের আওতায় থাকা ন্যাশনাল সেভিংস ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছে, সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে রাজ্য সরকারই কোনও উদ্যোগ নিচ্ছ না। স্বল্প সঞ্চয় থেকে আদায় হওয়া টাকা থেকে বাম আমলে কেন্দ্রের থেকে ধার নিত রাজ্য। কিন্তু সেই প্রথা তুলে দেয় তৃণমূল সরকার। তারা বাজার থেকে ধার নেয় এখন। কেন্দ্রের দাবি, রাজ্য যদি স্বল্প সঞ্চয় থেকে ঋণ নিত, তাহলে সঞ্চয় প্রকল্পগুলির প্রচারের জন্য তারা বাড়তি ফান্ড পেতে পারত, যা এজেন্টদের জন্য ব্যবহারের সুযোগ থাকত। কিন্তু এখন সেই সুযোগ নেই। ফলে তাঁরা ব্রাত্যই থেকে গিয়েছেন। তারই প্রতিবাদে ফের সরব হতে চান তাঁরা।
তবে পরিচয়পত্র ছাড়াও তাঁদের দাবি, সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে এজেন্ট কমিশন দু’শতাংশ করতে হবে। পিপিএফ বা সুকন্যা সমৃদ্ধি প্রকল্পের মতো স্কিমগুলিতে সরকার কমিশন প্রথা বন্ধ করেছে। সেগুলি চালু করার দাবি জানাবেন এজেন্টরা। পাশাপাশি মাসিক সঞ্চয় প্রকল্পে জমা টাকার অঙ্ক ১৮ লক্ষ টাকা করা এবং ক্যাশ রিওয়ার্ড চালু করার বিষয়েও সরব হবেন তাঁরা। এজেন্টদের বক্তব্য, ডাকঘরগুলিতে লিঙ্ক না থাকা বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার কারণে কাজে সমস্যা হয়। সেগুলির ইস্যুগুলিকেও সামনে আনবেন তাঁরা।