পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
২ অক্টোবর, গান্ধী জয়ন্তীর আগেই ১১৯ কারাবন্দির মুক্তি দেখতে চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এ বিষয়ে স্টেট সেন্টেন্স রিভিউ বোর্ড বহু দিন আগেই সুপারিশ করেছিল। পূর্ব শুনানির দিন বেঞ্চ বলেছিল, ২৬ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে ওই দপ্তরকে জানাতে হবে, মুক্তির সুপারিশপ্রাপ্ত বন্দিদের সম্পর্কে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এর অন্যথা হলে ওই দপ্তরের সচিবকে সশরীরে এজলাসে হাজির হয়ে তার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।
সেই সূত্রে ৩০ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে হাইকোর্ট প্রশাসনের তরফে আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতকে জানান, যেসব নিম্ন আদালত ওই ১১৯ জনকে সাজা শুনিয়েছিল, তাদের কাছ থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে অভিমত চাওয়া হয়েছিল। তার জেরে ৪০ বন্দি সম্পর্কে অভিমত মেলে। তার মধ্যে ১৯ জনকে ছেড়ে দেওয়ার অভিমত মিলেছে। বাকিদের ক্ষেত্রে সুপারিশ নাকচ হয়েছে। সেই তথ্য দুই দফায় রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়। ওদিকে, রাজ্য সরকার তথা জুডিসিয়াল সেক্রেটারি বেঞ্চকে জানান, হাইকোর্টের কাছ থেকে মাত্র ১৯টি অভিমত পাওয়া গিয়েছে। তাঁর এই দাবি সঠিক নয় বলে বেঞ্চকে জানান হাইকোর্ট প্রশাসনের আইনজীবী। ওই ১৯ জনের মুক্তি সম্পর্কে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি বলে ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সংশোধনাগারে বন্দির ভিড় কমাতে যে জনস্বার্থ মামলার সূত্রেপাত হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে, সেই সূত্র ধরে এই রাজ্যেও তার শুনানি চলছে। কত বন্দি ফৌজদারি আইন অনুযায়ী বন্দিদশা থেকে মুক্তির জন্য আবেদন করেছেন, সেইসব আবেদনগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, বেঞ্চ তা জানতে চেয়েছিল রাজ্যের কাছে। রাজ্য জানায়, ১১৯ জনকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বোর্ড সুপারিশ করেছে। সুপারিশগুলি করা হয়েছে ২০১৭ সালের ২৯ মে থেকে ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়কালে। এই দীর্ঘসূত্রিতার সমালোচনা করে বেঞ্চ বলেছিল, ২০১৭ সালের সুপারিশ পড়ে থাকা বিস্ময়করই শুধু নয়, বিষয়টি সংবিধানিক ব্যবস্থা বা আন্তর্জাতিক রীতিনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এই প্রেক্ষাপটে বেঞ্চ তার সাম্প্রতিক রায়ে বলেছে, বন্দিদের মৌলিক অধিকার বা সাম্যের অধিকার ক্ষুণ্ণ করে বিষয়টি দীর্ঘকাল ঝুলিয়ে রাখা যায় না। তাই হাইকোর্ট প্রশাসন নিম্ন আদালতগুলিকে সতর্কবার্তা দেবে। যাতে মুক্তির সুপারিশপ্রাপ্ত বন্দিদের ব্যাপারে ওই আদালতগুলি পরবর্তী শুনানির আগেই নিজস্ব অভিমত পাঠিয়ে দেয়।