রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার মির্জাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তাঁকে পাঁচদিনের হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জেরায় মির্জা দাবি করেন, এক রাজনৈতিক নেতার কথামতো তিনি টাকা নিয়েছিলেন। ওই নেতার কথাতেই তাঁর কাছে সন্তোষ শঙ্করণ নাম নিয়ে এসেছিলেন ম্যাথু স্যামুয়েল। এমনকী তিনি ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ওই নেতার কলকাতার ফ্ল্যাটে দিয়ে এসেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। এরপরই বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে ডেকে পাঠানো হয়। মুখোমুখি জেরায় বসানো হয় মির্জা ও মুকুলকে। আইপিএস অফিসারের তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন মুকুলবাবু। এরপর তাঁর এলগিন রোডের ফ্ল্যাটে মির্জাকে নিয়ে গিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে সিবিআই।
হেফাজত শেষ হওয়ার পর সোমবার সকালে আইপিএস অফিসার মির্জাকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। রুদ্ধদ্বার কক্ষে চলে শুনানি। সিবিআইয়ের তরফে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। মির্জা প্রভাবশালী—সেই তত্ত্বও তুলে ধরে সিবিআই। মির্জা যে তথ্য দিয়েছেন, তা বিশ্লেষণ করে দেখবেন অফিসাররা। যদিও মির্জার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। সওয়াল শেষে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান। আদালত থেকে বেরনোর সময় তিনি বলেন, সব সত্যি কথা বলে দিয়েছি। রেকর্ড করা হয়েছে। ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে। সাড়ে তিন বছর ধরে মনের ভিতর তা চেপে রেখেছিলাম। সবটা বলে দিয়েছি। এখন মনের দিক থেকে অনেক হাল্কা বোধ করছি। আইন আইনের পথে চলবে। বাকিটা জেনে যাবেন আপনারা।