সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়া কী? সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০১৬ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ বর্তমানে ঝুলে রয়েছে। এই বিলে বলা রয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা সংখ্যালঘু মানুষদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। এই সূত্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার সংসদে বিল নিয়ে আসে। কিন্তু সিপিএম-তৃণমূল সহ কয়েকটি দলের প্রবল বিরোধিতায় তা এখনও পাশ করা যায়নি। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এখনও রাজ্যসভায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। সবকিছু ঠিক থাকলে আসন্ন শীতে বহু প্রতীক্ষিত সেই পূর্ণ বহুমত পেতে চলেছে মোদি সরকার। তারপরই আটকে থাকা এই বিল পাশ করিয়ে আইনে পরিণত করতে পারে কেন্দ্রের সরকার। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট তিনটি দেশ থেকে শরণার্থী হিসেবে আসা হিন্দু, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। মোহন ভাগবতের দেখানো পথ অনুসারে তারপর এনআরসি কার্যকর করা হবে। যার মূল উদ্দেশ্যে হল, রাজ্যের সর্বত্র অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা। যেখানে মূলত বাংলাদেশ সহ কয়েকটি রাষ্ট্র থেকে আসা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পরিচয় যাচাই করা হবে।
মোহন ভাগবত সাফ জানিয়েছেন, অত্যাচারিত হিন্দুরা হিন্দুস্থানেই থাকবে। তাঁদের মুখের ভাষা অর্থাৎ মাতৃভাষা যাই হোক না কেন, তাঁদের দেশের বাইরে যেতে দেব না। অসমে বাদ যাওয়া ১২ লক্ষ হিন্দুর নাম বাদ পড়া প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, শ্রদ্ধেয় ভাগবতজি স্পষ্টই জানিয়েছেন, কোনও হিন্দুর উদ্বেগের কারণ নেই। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নোট বাতিল, জিএসটি নিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। যার কোনও প্রভাব পড়েনি। একইভাবে এখন তিনি আর কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এনআরসি নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। কেউ দুর্ঘটনায় মারা গেলেও তার দায় এনআরসি’র উপর চাপানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেব এবং অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের চিহ্নিত করব। এদিকে, যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের তরফে ভাগবতের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট করা হয়েছে। শিবিরে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ নিয়ে বক্তব্য পেশ করেছেন। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হেনস্তার ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি সরসঙ্ঘ চালক। বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান ঘিরে বাংলায় ব্যাপক উৎসাহ দেখা গিয়েছে। পরিসংখ্যান দিয়ে পদ্ম শিবিরের তরফে তা ভাগবতের সামনে পেশ করা হলে প্রশংসা করেন সঙ্ঘ প্রধান।