সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
প্রাক্তন নগরপালকে ধরতে মরিয়া সিবিআইয়ের অফিসাররা। শনিবারই তাঁর আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা জজ। অন্যদিকে, দিল্লি থেকে নির্দেশ এসেছে, যেভাবেই হোক তাঁর সন্ধান পেতে হবে। তবে এতদিন আস্তিনের সব ভাঁজ না খুললেও এবার যে তা করা হবে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন দিল্লির কর্তারা। রাজীব কুমার সিবিআইকে এড়িয়ে যাওয়ায় রীতিমতো অসন্তুষ্ট তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এক কর্তার কথায়, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না।
পাল্টা কৌশল হিসেবে সারদার পাশাপাশি এবার রোজভ্যালিতেও তলব করে সাঁড়াশি চাপ দিতে চাইছে সিবিআই। রোজভ্যালিকাণ্ডে যে তাঁর যোগ রয়েছে, তা সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে আগেই জানিয়েছে সিবিআই। সারদা নিয়ে তথ্য চাওয়া হলেও তা তিনি দেননি বলে তাদের দাবি। তাই এবার রোজভ্যালি মামলায় রাজীবকে টানতে চাইছে তারা। তিনি এই নোটিসের কী উত্তর দিচ্ছেন, তা দেখে নেওয়াই উদ্দেশ্য অফিসারদের। যাতে তাঁর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার তত্ত্ব আরও জোরালো হয়। শুধু তাই নয়, রোজভ্যালি মামলাতেও তাঁকে জামিন নেওয়ার প্রসঙ্গ আসবে। সেক্ষেত্রে তিনি যে ব্যাখ্যা দেবেন, তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে তদন্তকারী সংস্থার কাছে।
রোজভ্যালিতে রাজীবের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, গৌতম কুণ্ডুর চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে অফিসাররা জেনেছেন, রোজভ্যালির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছিল দুর্গাপুর-আসানসোলে। দক্ষিণবঙ্গের আরও দুটি জেলাতেও অভিযোগ আসে এই চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে। থানাকেও লিখিতভাবে জানানো হয়। সিবিআইয়ের দাবি, তাদের হাতে তদন্তভার হস্তান্তরের সময় সিটের তরফে এগুলি দেওয়া হয়নি। অভিযোগের কপি বা এফআইআরের কপিও তারা পায়নি। সিট জানায়, এগুলি দুর্গাপুর-আসানসোল কমিশনারেটের তরফে দেওয়া হয়নি। আর কমিশনারেট জানায়, সব কিছুই তারা সিটকে দিয়ে দিয়েছে। ফলে এরাজ্যে সিবিআই কোনও কাগজ না পাওয়ায় ওড়িশায় গিয়ে মামলা করতে হয়েছে। রোজভ্যালি কেলেঙ্কারির তথ্যপ্রমাণ লোপাটের পিছনেও রাজীবের ভূমিকা ছিল বলে দাবি করেছে সিবিআই। যা উল্লেখও করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকে দেওয়া হলফনামায়। রোজভ্যালিতে আসলে কী ঘটেছিল, তা জানতে চেয়েই রাজীব কুমারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, রবিবারও প্রাক্তন কমিশনারের খোঁজে সিবিআই অফিসাররা প্রথমে যান আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে। এরপর দক্ষিণ কলকাতার আরও কয়েকটি জায়গায় যান তাঁরা। যেখানে রাজীব ছুটিতে থাকাকালীন এসেছিলেন বলে খবর। সেই সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ ক’জন ব্যবসায়ীর উপরও নজর রাখছে সিবিআই। যাঁরা এই সময়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা থেকে শুরু করে রাজীবের হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছেন। তার ভিত্তিতেই এদিন দুই ব্যবসায়ী সহ মোট চারজনকে জেরা করে প্রাক্তন পুলিস কমিশনারের গতিবিধি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়।