সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
জেলায় পৌঁছে পর্যটন উৎসবের আয়োজন করার উদ্যোগ শুরু হয়েছিল গত বছর থেকেই। এবার তাকেও আরও বেশি সংখ্যায় ছড়িয়ে দিতে চাইছে দপ্তর। ইতিমধ্যেই উৎসবের প্রস্তুতির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলি, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। সেই তালিকায় আছে কলকাতাও। দপ্তরের কর্তারা বলছেন, একটি জেলায় একটি মাত্র উৎসব হবে, এমন কোনও কথা নেই। একটি জেলায় আলাদা আলাদা জায়গায় উৎসবও হতে পারে। সেটি নির্ভর করবে, জেলার আয়তন এবং তার লোকসংখ্যার উপর। উৎসবগুলি হবে বিভিন্ন দিনে। তাই আগে থেকে কোনও নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে চাইছে না রাজ্য সরকার। প্রতিটি উৎসব হবে তিনদিন করে, যেখানে নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন সাধারণ দর্শকও।
কেন পর্যটন উৎসবকে এত বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার? দপ্তরের এক কর্তা বলেন, আমরা যে যে উদ্যোগ নিচ্ছি, সেগুলির প্রচার সেভাবে হচ্ছে না। এমনকী সাধারণ পর্যটকদের জন্য যে পরিষেবা বা সুবিধা চালু করা হয়েছে, সেগুলির বিষয়েও সম্যক ধারণা নেই অনেকেরই। যেমন, রাজ্য সরকারের হাতে থাকা লজ বা অতিথিশালাগুলি যেভাবে পরিকাঠামোগতভাবে ভোল বদলাচ্ছে, যেভাবে উত্তরবঙ্গ সহ নানা জায়গায় হোম স্টে মাথা চাড়া দিচ্ছে, সেগুলির হদিশ আমরা সাধারণ মানুষকে দিতে চাই। রাজ্যে যে নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে, সেই বিষয়েও সাধারণ মানুষকে জানানোর পরিসর থাকে না সব সময়। পর্যটন উৎসবের মাধ্যমেই তা সম্ভব। রাজ্য পর্যটন দপ্তর যেমন স্টল দেবে মেলাগুলিতে, তেমনই বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরকে মেলাগুলিতে জায়গা দেওয়া হবে। তারা আলোকপাত করবে পরিবহণ, আবাস, খাওয়াদাওয়া বা বেড়ানোর বিষয়ে। থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে হাজির হবেন শহরের নামকরা শিল্পীরা। পাশাপাশি আঞ্চলিক শিল্পীদেরও দিয়েও অনুষ্ঠান করানো হবে, জানিয়েছেন দপ্তরের কর্তারা। ক্যুইজ বা সেই জাতীয় নানা অনুষ্ঠান থাকবে, যেখানে সরাসরি অংশ নিতে পারবেন দর্শকরা। যাঁরা টেন্ডারে অংশগ্রহণ করবেন, তাঁদের জন্য একটি ‘প্রি-বিড’ বৈঠক ডেকেছে দপ্তর। চলতি মাসের ৩০ তারিখে তা হওয়ার কথা। ১৬ অক্টোবর খোলা হবে টেন্ডার।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পর্যটনকে গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রকে ঢেলে সাজার পাশাপাশি নতুন জায়গাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে দপ্তর। বিদেশি পর্যটক যাতে দিল্লি, রাজস্থান, অজন্তা ইলোরার মতো চিরাচরিত ও জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলির পাশাপাশি পূর্ব ভারতের এই রাজ্যগুলির দিকেও তাকায়, তার জন্য প্রচারপর্বও চালানো হয়েছে যথেষ্ট। সেসবের পাশাপাশি এবার খোদ বাংলার পর্যটকের দিকেই তাকাতে চায় পর্যটন দপ্তর।