সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
রাজ্যপাল এদিন বলেন, রাজ্যের বর্তমান শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। আমি এই অনুষ্ঠানে এ ব্যাপারে মুখ খুলব না ঠিক করেছিলাম। তবু বলছি, আমি রাজ্যের একাধিক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার যে গৌরবময় কৃষ্টি ও ঐতিহ্য রয়েছে, তা আজ পুনরুদ্ধার করতে হবে। আমি ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও অভিভাবক বটে। সেই সুবাদেই বলছি, শিক্ষা ব্যবস্থায় বর্তমানে বেআইনি কার্যকলাপ চলছে। চলছে অকারণ ও ক্ষতিকারক রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। এর থেকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বের করে আনতেই হবে আমাদের। আমি আজ নিজে যে জায়গায় এসেছি, তা সম্ভব হয়েছে শিক্ষার জন্যই। যদি কোনও প্রজন্মকে ধ্বংস করতে হয়, তাহলে মারামারি করতে বা পরমাণু বোমা মারতে হবে না। কেবল শিক্ষা কেড়ে নিলেই একটা গোটা প্রজন্ম খতম হয়ে যাবে। তাই আমি যতদিন এখানে এই দায়িত্বে রয়েছি, তার মধ্যে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভালো করে তার পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করব।
রাজভবনে বলা রাজ্যপালের এহেন বক্তব্যের কথা কানে পৌঁছানো মাত্র তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন শিক্ষামন্ত্রী। এমনিতেই যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে গত দু’দিন ধরে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকার তথা শাসক শিবিরের সংঘাত চলছে। এই আবহে ধনকার আবার শিক্ষা ব্যবস্থায় বেআইনি কাজ এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কথা বলায় সরকারের অস্বস্তি নিঃসন্দেহে বেড়েছে। সেই কারণে পার্থবাবু পাল্টা কড়া ভাষায় ধনকারের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের মতো সম্মানিত পদকে উনি কলঙ্কিত করবেন না— এটাই আশা করব আমরা। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য এর আগে কোনও রাজ্যপাল করেননি। এটা একেবারেই অনভিপ্রেত। তাঁর এই ধরনের আচরণ দেখে রাজ্যের অনেক লোক এসবের পিছনে বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের প্রচ্ছন্ন মদত খুঁজতে শুরু করেছেন।