সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
নিজে একসময় কাজি হিসেবে কাজ করেছেন। তখন ওই ব্রিটিশ আইনের অপ্রাসঙ্গিকতা তাঁর নজর টানে। মুঘল সম্রাটদের বানানো ব্যবস্থা ব্রিটিশরা খাতায়-কলমে এভাবেই চালু করে তৎকালীন বাংলা, বিহার ও ওড়িশার জন্য। ১৯৪৯ সালে ওড়িশা এই আইন সংশোধন করেছে। কিন্তু, এখানে তা হয়নি। এমনকী পার্শ্ববর্তী বিহার ও ঝাড়খণ্ডে ১৮৭৬ সালের আইনটিই আজও চালু। যা সময়োপযোগী নয়। এর ফলে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আমিনুদ্দিন শেখের। তাঁর বক্তব্য, আইন অনুযায়ী, ওই ‘ফি’ নেওয়া বাস্তবে অসম্ভব। তাই কাজিরা যেমন ইচ্ছা ‘ফি’ নিচ্ছেন। ওই কাজিরা কেন স্বাধীনতার পর থেকে আজও ফি বৃদ্ধির দাবি জানাননি, এই প্রশ্নও মামলায় তোলা হয়েছে। অন্যদিকে, সরকারের ঘরে এই কাজ থেকে কোনও অর্থ জমা পড়ছে না। এই অভিযোগ এনে মামলায় দাবি করা হয়েছে, এর ফলে বিপুল রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট ও হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট সংশোধিত হয়েছে।
মামলাকারী চেয়েছিলেন, এই মুসলিম আইনটিও সংশোধিত হোক। হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল, রাজ্যকেই বিষয়টি তিন মাসের মধ্যে সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু, রাজ্য তাঁকে জানায়, বিষয়টি সংসদে বিবেচিত হওয়া উচিত। যাতে সারা দেশে সবার জন্য একই আইন বলবৎ হয়। আমিনুদ্দিন শেখের মতে, ওই ‘চার আনা’ ফি ব্যবস্থা সংশোধন না করার ফলে রাজ্যের এমন অভিমত আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যদিকে, বারংবার বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েও সুরাহা না পেয়ে তিনি আবারও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
তাঁর দাবি, ১৮৭৬ সালের ওই আইনের বর্তমান অবস্থা এবং ফি-কাঠামো অসাংবিধানিক এবং মুসলিম নাগরিক এমনকী কাজিদের জন্যও ক্ষতিকর। তাই ওই আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত মুসলিম বিবাহ নথিভুক্তিকরণ অফিসগুলির কাজকর্ম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিক আদালত।