সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
বিলটি নিয়ে ধনকারের এই অবস্থানের পিছনে অবশ্য রয়েছে রাজ্যের দুই বিরোধী শিবিরের দরবার। মঙ্গলবার কংগ্রেস পরিষদীয় তথা বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী নবনিযুক্ত রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে যান কংগ্রেস পরিষদীয় দলের সহনেতা নেপাল মাহাত ও বিধায়ক জুলকারনানি। বিধানসভায় বিরোধীপক্ষের প্রাপ্য মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হওয়া সংক্রান্ত একগুচ্ছ অভিযোগ করেন তাঁরা ধনকারের কাছে। রাজ্যের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং পুলিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির নালিশও করেন তাঁরা। তবে তাঁরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন গণপিটুনি সংক্রান্ত বিলটি নিয়ে। এব্যাপারে দুই পরিষদীয় দলের তরফে লিখিত অভিযোগও করেন তাঁরা। সেই অভিযোগপত্রের বক্তব্যকে সামনে রেখেই রাজ্যপাল এই বিল নিয়ে নিজের অবস্থানের কথা স্পষ্ট করেন মান্নানদের কাছে। পরে রাজভবন থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে মান্নান-সুজনদের করা অভিযোগের কথা উল্লেখও করা হয়েছে রাজ্যপালের অভিপ্রায় ব্যক্ত করার প্রসঙ্গে।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিক বৈঠকে মান্নান-সুজন বলেন, গণপিটুনি বিলের বিষয়বস্তু বা উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের তেমন কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বিধায়কদের কার্যত অন্ধকারে রেখে রাতারাতি একই নম্বরের দুটি বিল বিলি করা হয় তিন দিনের ফারাকে। প্রথমটিতে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নিদান ছিল। কিন্তু বিধানসভায় আলোচনার দিন বিলি করা সংশোধিত বিলে সেই সাজা মৃত্যুদণ্ডে বলে উল্লেখ করা হয়। একই নম্বরের দুটি বিল পেশেই রাজ্যপাল অনুমোদন দিয়েছেন বলেও সরকারের তরফে সেদিন জানানো হয়। কিন্তু সেটা কতটা সঠিক, তা নিয়ে আমাদের ধন্দ এখনও রয়েছে। সর্বোপরি, এই ধরনের বিতর্কিত বিল জোর করে পাশ করালে ভবিষ্যতে এনিয়ে মামলা হলে সরকারই বিপদে পড়বে বলে আমরা সতর্কও করি। কিন্তু শাসকপক্ষ তাতে কর্ণপাত করতে চায়নি সংখ্যাগরিষ্ঠতার গরিমায়। শেষমেশ আমরা এনিয়ে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দ্বারস্থ হয়েছি। উনি আমাদের সব দিক খতিয়ে দেখে সংবিধান ও আইন মোতাবেক পদক্ষেপ করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমানবাবু রাজ্যপালের এহেন অবস্থান নিয়ে এদিন বলেন, বিলটি রাজভবনে পাঠানো হয়েছে কি না, বলতে পারব না। তবে উনি কী করবেন, সেটা ওঁর ব্যাপার। সংবিধান মেনে উনি কোনও আলোচনায় ডাকলে তখন এব্যাপারে ভেবে দেখব। এর বেশি এনিয়ে কিছু বলতে চাই না।