শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
রাজীবের আইনজীবীরা প্রথমে বারাসতে এমপি-এমএলএদের বিশেষ আদালতেই আগাম জামিনের আর্জি জানান। মঙ্গলবার বিষয়টি আদালতে ওঠে। বিচারক জানিয়ে দেন, এ সংক্রান্ত মামলা শোনার এক্তিয়ার তাঁর নেই। এই ক্ষমতা রয়েছে জেলা দায়রা আদালতের। এরপরই তড়িঘড়ি প্রাক্তন কমিশনারের আইনজীবীরা ওই আদালতে যান আগাম জামিন চেয়ে। বেলা দুটো নাগাদ শুনানি শুরু হয়। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, রাজীব কুমার একজন সিনিয়র পুলিস অফিসার। কিন্তু আইন ভেঙেছেন। এই মামলায় সমাজের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। বিরাট ষড়যন্ত্র হয়েছে। সারদার অফিস মিডল্যান্ড পার্কে ছিল। যা বিধাননগর কমিশনারেটের অধীন। এখানকার সিপি ছিলেন রাজীব। সিটেরও সদস্য ছিলেন। বারবার বলার পরেও সিডিআর (কল ডিটেলস রিপোর্ট) দেননি। ইডির উপস্থিতি ছাড়া সল্টলেকের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকার ভাঙা হয়। এমনকী দেবযানীর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা ক্যাশবুক ও ২টি ডায়েরি ছিল। সেগুলিও নেই। বিধাননগরের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষ সহ অন্যান্যরা বলেছেন, রাজীব কুমারের নির্দেশেই তাঁরা কাজ করছিলেন। তাই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। পাল্টা যুক্তি তুলে প্রাক্তন কমিশনারের আইনজীবী জানান, রাজীব কুমার একজন শীর্ষ পুলিস আধিকারিক। তিনি এর আগেও সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন এবং সহযোগিতা করেছেন। আর প্রাক্তন কমিশনার ছুটিতে রয়েছেন। তিনি ফিরে এসে সিবিআইতে যাবেন। তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার কী প্রয়োজন? বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ শুনানি শেষ হয়। সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ বিচারক জানিয়ে দেন, আগাম জামিনের আবেদন এই আদালতে গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁকে আলিপুর এসিজেএমে যেতে হবে। মামলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে পড়ে। তাই সেখানেই এর নিষ্পত্তি হবে। আজ, বুধবার রাজীবের আগাম জামিনের আবেদনের পিটিশন জমা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে আলিপুরে।
ওয়ারেন্ট নিয়ে সিবিআইয়ের তরফে আদালতের কাছে বলা হয়, তিনি জেরা এড়িয়েছেন। বারবার ডাকার পরেও আসেননি। তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। সেই কারণেই ওয়ারেন্ট জারি করা হোক। এমপি-এমএলএদের বিশেষ আদালতের বিচারক জানিয়ে দেন, এই আদালতের এক্তিয়ার নেই ওয়ারেন্ট জারি করার। তা আলিপুর এসিজেএমের রয়েছে। সেখানেই পাঠিয়ে দেন এই মামলাও। আজ, বুধবার আলিপুরে সিবিআই এই পিটিশন জমা দিতে পারে।