শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের জয়েন্ট সেক্রেটারি ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশন লিমিটেডের (ডব্লুবিএমএসসিএল) ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে চিঠি দেন। ওই চিঠির কপি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ অন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছেও পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যে মোট ৯৭টি অটোমেটেড সেল কাউন্টার মেশিন কেনার জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন হয়েছে। মূলত ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্যই এইসব মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ২৫টি মেশিন কেনার জন্য ৪৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩৫০ টাকা আগেই বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭২টি মেশিন কেনার জন্য ১ কোটি ৩১ লক্ষ ৫২ হাজার ২৬৭ টাকা ডব্লবিএমএসসিএলকে বরাদ্দ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এরমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ৬টি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও তিনটি গ্রামীণ হাসপাতালকে এই মেশিন দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, পিংলা ও সবং ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও গ্রামীণ হাসপাতালকে এই মেশিন দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাজ্যের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে এতদিন রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, সুগার, ম্যালেরিয়া, গর্ভবতী মায়েদের ভিডিআরএল, এইচআইভি পরীক্ষা সহ হাতে গোনা কয়েকটি পরীক্ষা করা যেত। তাও রক্ত দেওয়ার পরে আর একদিন এসে তথ্য জানতে হত রোগীদের। এর ফলে জ্বর কিংবা অন্য কোনও সমস্যা নিয়ে আসা রোগীকে বাইরে থেকে করে আনা রক্ত পরীক্ষা রিপোর্ট ছিল একমাত্র ভরসা।
এই মেশিনের মাধ্যমে একজন রোগীর কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট মাত্র তিন মিনিটেই করা সম্ভব হবে। রক্তের টিসি‑ডিসি, হিমোগ্লোবিন, পিসিভি, প্লেটলেট, এমসিভি, এমসিএইচ, আরবিসি, ডব্লুবিসির মতো অন্যান্য পরীক্ষা করা যাবে।