নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বৃহস্পতিবার জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরোধিতায় কলকাতার রাজপথে নেমেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে এনআরসি ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাংলা থেকে ২ কোটি অনুপ্রবেশকারীকে তাড়ানো হবে বলে বুধবারই দিল্লিতে হুঙ্কার দিয়েছিলেন মেদিনীপুরের এই সাংসদ। এর পাল্টা শ্যামবাজারে এদিন মমতা রীতিমতো হুমকির সুরে বলেন, দু’টো লোকের গায়ে হাত দিয়ে দেখুন। যার জবাবে দিলীপবাবু এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, মমতা নিজের জীবদ্দশায় পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি’র সফল বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারবেন। আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দিলীপ ঘোষের সতর্কবার্তা, যে সব নেতা-নেত্রীরা এনআরসি’র বিরোধিতা করছেন, এক সময়ে তাঁদেরই অনুপ্রবেশকারীদের মতো দশা হবে। বাংলায় আরও কঠোরভাবে এনআরসি’র প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দিলীপ ঘোষের দাবি, অসমের থেকেও বাংলায় এনআরসি বেশি জরুরি। কারণ, এ রাজ্যে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশকারী ঢুকে রয়েছে। তৃণমূলের নেতারা দুই ২৪ পরগনা সহ কয়েকটি জেলাকে অনুপ্রবেশকারীদের করিডর বানিয়ে ফেলেছে।
দিলীপ ঘোষের কথায়, বিজেপিও প্রথমে এনআরসি চায়নি। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গারা হু হু করে ঢুকছে। যার জেরে গোটা রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাঁর দাবি, বাংলাদেশ থেকে প্রায় দু’ কোটি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী এসেছে। যাদের মধ্যে অর্ধেকই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে। বাকি এক কোটি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘাঁটি গেড়েছে। পাশাপাশি এই মুহূর্তে জ্বলন্ত ইস্যু বউবাজার তথা মেট্রো কাণ্ড নিয়েও মমতাকে দুষেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর প্রশ্ন, এই ঘটনার জন্য দায়ী কে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেদ এবং খামখেয়ালিপনার জন্যই মেট্রোর রুট বদল করতে হয়েছে। যার জেরে নির্মাণকারী জাপানি সংস্থা এই কাজ করতে চাইছিল না। মেট্রোর রুট পরিবর্তন ঘিরে হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার কৃতিত্বও মমতাকে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তবে বউবাজারকাণ্ডে দুই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন তিনি।