পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এই মুহূর্তে পিএসসি আয়োজিত সব পরীক্ষার কাট অব মার্কস দিয়ে দেওয়া হয়। ধরা যাক, কোনও লিখিত পরীক্ষা ১০০ নম্বরে হল। এক্ষেত্রে কমিশন সিদ্ধান্ত নিল কাট অব মার্কস ৫০ নম্বর হবে। সেক্ষেত্রে ওই নম্বর কিংবা তার বেশি পাওয়া প্রার্থীরাই সফল হিসেবে গণ্য হবেন। পাশাপাশি ৫০-এর কম পাওয়া প্রার্থীরা ওই পরীক্ষার যোগ্যতামান পেরতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে ধরা হবে। সমস্ত মূল্যায়নের শেষে চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়। মেধার উপর ভিত্তি করে সফল প্রার্থীদের ক্রমতালিকা তৈরি হয়। তবে সেই পরীক্ষায় বসা প্রার্থীরা জানতে পারেন না, কে কত নম্বর পেয়েছেন। এবার সেই সুযোগ করে দিতে চলেছে পিএসসি।
এ প্রসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান দেবাশিস বসু বলেন, আমরা চাই পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা প্রত্যেকে কত নম্বর পেয়েছেন, তা জানার কৌতুহল থাকে। এটা বহু দিনের দাবি। পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষার নম্বর জানতে পারলে পরবর্তী পর্যায়ে নিজের খামতি অনেকটা পুষিয়ে নিতে পারবেন তাঁরা। যদিও কমিশনের অন্দরে জোর গুঞ্জন, এই সিদ্ধান্তের পিছনে অন্য রহস্য রয়েছে। গত দু’বছরে পিএসসি আয়োজিত একাধিক পরীক্ষা এবং পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস (ডব্লুবিসিএস) সহ কয়েকটি পরীক্ষায় বহু প্রার্থীর নম্বর বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। নিয়োগে স্বজনপোষণ সংক্রান্ত এই মারাত্মক অভিযোগে পিএসসি’র ভাবমূর্তিতে সার্বিক আঘাত নেমে এসেছিল। এবার এই নয়া সিদ্ধান্তের জেরে হৃত ভাবমূর্তি উদ্ধারে সচেষ্ট হল কমিশন।