ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
২০০৬ সালে সল্টলেকের ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্সকে নবদিগন্ত শিল্পতালুক বলে চিহ্নিত করা হয়। সেখানে রেন্টাল ভ্যালু সিস্টেমে কর নেওয়া হতো। সে সময় কর হিসেবে আদায় হতো মাত্র তিন কোটি টাকা। গত আর্থিক বছরে সেই আদায়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি টাকা। বর্তমান আর্থিক বছরে তা বেড়ে হবে ৭০ কোটি টাকা। ইউনিট এরিয়া কর ব্যবস্থা চালু করলে তা বেড়ে দাঁড়াবে ১২০ কোটি টাকা। কলকাতায় তা চালু করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে পুরসভা। কিন্তু সেক্টর ফাইভে যেহেতু স্থায়ী বসবাসকারী নাগরিক নেই, তাই সেখানে এই ব্যবস্থা চালু করা খুব অসুবিধার হবে না বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ। সেক্টর ফাইভে ৩৮২টি প্লট আছে। সেখানে রয়েছে ১৪১৩টি সংস্থা। সেই সব সংস্থার নামে নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষ থেকে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নগরোন্নয়ন দপ্তর ইউনিট এরিয়া কর ব্যবস্থা চালু করার জন্য একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছে। সেই কমিটিতে রাজ্য মূল্যায়ন পর্ষদ, নবদিগন্ত শিল্পতালুক কর্তৃপক্ষ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির প্রধানকে রাখা হয়েছে। তারা সমীক্ষা চালিয়ে একটি ইউনিট এরিয়া কর অ্যাসেসমেন্ট-এর খসড়া রিপোর্ট তৈরি করেছে। তা পরীক্ষা করার জন্য নবদিগন্ত শিল্পতালুকের অ্যাসেসমেন্ট এবং অর্থ দপ্তরকে বলা হয়েছে। যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, যাঁরা ভাড়ায় রয়েছেন, তাঁদের কর ১০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে যাবে। যাঁদের নিজের বাড়ি, তাঁদের কর ১০ থেকে ১০০ শতাংশ বেড়ে যাবে। এই দেখে কর্তাদের চক্ষু চড়কগাছ অবস্থা। তাই বেস ইউনিট এরিয়া ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট নতুন করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কর ২০ শতাংশের বেশি যাতে না বাড়ে, সে দিকে মাথায় রেখেই খসড়া রিপোর্টকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হচ্ছে বলে নবদিগন্ত শিল্পতালুক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে।