ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
সম্প্রতি বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক হিংসা থেকে শুরু করে অপরাধের ঘটনা বেড়েছে। যে কারণে সমস্যা বাড়ছে। সব এলাকায় সমানভাবে নজরদারি চালানো যাচ্ছে না। সেই কারণে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নতুন নতুন পুলিস জেলা তৈরির। যাতে একদিকে জেলাগুলিতে পুলিসের নজরদারি বাড়ানো যায়, অন্যদিকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা ভালো রাখাও উদ্দেশ্য। সেইমতো নতুন পুলিস জেলা তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে রয়েছে দুই ২৪ পরগনা ও উত্তর দিনাজপুর। আগামী দিনে এর সংখ্যা আরও বাড়াতে চায় প্রশাসন।
পুরনো জেলা ভেঙে নতুন পুলিস জেলা তৈরি হওয়ার পর পুলিস সুপারের অফিস এবং প্রশাসনিক কাজকর্ম চালানোর জন্য ভবন দরকার। এর সঙ্গে আবার নতুন থানা তৈরিরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারজন্য দরকার জমি বা বাড়ি। পুলিস কর্তারা চাইছেন, সংশ্লিষ্ট জেলার প্রাণকেন্দ্রে এসপি’র কার্যালয় এবং প্রশাসনিক অফিস তৈরি করতে। যাতে সহজভাবে পুলিসের দৈনন্দিন কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর, থানা, ফাঁড়ি, এসপি অফিস বা পুলিসের প্রশাসনিক কাজের জন্য বাড়ি ভাড়া চেয়ে নতুন পুলিস জেলাগুলি থেকে একাধিক প্রস্তাব এসেছে রাজ্য পুলিসের সদর দপ্তরে। তার বাজেটও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতার জেরে সমস্ত প্রস্তাবই আটকে রয়েছে। ফলে ঝুলে রয়েছে একাধিক পরিকল্পনা। শীর্ষ কর্তাদের বৈঠকে এই প্রসঙ্গও উঠেছে। বাড়তি টাকা চেয়ে অর্থ দপ্তরের কাছে আবেদন করা হলেও একাধিক বিষয় জানতে চেয়েছে তারা। সূত্রের খবর, সেই কারণে পুলিস জেলাগুলিকে বলা হয়েছে, কম বাজেটের ঘর বা বাড়ি দেখতে। যাতে আপাতত কাজকর্ম চালানো যায়। একদিকে বাজার চলতি অস্বাভাবিক বাড়িভাড়া, অন্যদিকে খরচের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা—এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিস আধিকারিকদের। কীভাবে এর মোকাবিলা করা যায়, তার উপায় খুঁজছেন তাঁরা। এই অবস্থায় ডিজির আর্থিক ক্ষমতা ৫০ হাজার টাকায় সীমাবদ্ধ না রেখে তা বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন আধিকারিকরা। যাতে জটিলতা কাটিয়ে পড়ে থাকা কাজ দ্রুত সেরে ফেলা যায়।