হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
সিবিআই তদন্তে নেমে জেনেছে, রোজভ্যালির বিরুদ্ধে জমা পড়া অভিযোগের এফআইআর করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের কাছে জমা দেওয়া লিখিত হলফনামায় এই বিষয়টির উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৩ সালে দুর্গাপুরে রোজভ্যালির বিরুদ্ধে এক আমানতকারী প্রতারণার অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় থানায়। তদন্তে নেমে তারা এই বিষয়ে জানতে পারে। কিন্তু এই সংক্রান্ত কোনও নথি সিটের তরফে তাদের দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। যে কারণে সিবিআই রোজভ্যালি কর্তার বিরুদ্ধে এ রাজ্যে কোনও মামলা করতে পারেনি। ওড়িশায় এই সংস্থার বিরুদ্ধে জমা পড়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে এফআইআর করা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তাদের কথায়, দুর্গাপুরে জমা পড়া অভিযোগ সিটের কাছে এসেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।
যদিও রাজ্য সরকারের গড়া সিটের যে সমস্ত সদস্য এর আগে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছেন, তাঁরা দাবি করেছেন, রোজভ্যালির বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও লিখিত কপি পাননি। বিষয়টি উপরতলার কর্তারা বলতে পারবেন বলে জানিয়েছেন। এই বিষয়ে জানতেই সিটের শীর্ষকর্তা রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই। যাতে তাঁর কাছ থেকে এই বিষয়ে আসল তথ্য পাওয়া যায়। সেই কারণেই তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি একমাস সময় চেয়ে নেন তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে। এর মাঝে হাইকোর্টে রাজীব কুমারের মামলায় তাঁর আইনজীবী জানান, সিবিআই রোজভ্যালি মামলায় তাঁকে ডাকছে। অথচ হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে কলকাতার বাইরে তিনি যেতে পারবেন না। অথচ সিজিও কমপ্লেক্স বিধাননগর কমিশনারেটের অধীন। তাই সেখানে গেলে হাইকোর্টের রায়ের অবমাননা হবে। আবার না গেলে সিবিআই বলবে হাজিরা দিচ্ছে না। আদালত জানায়, প্রাক্তন নগরপাল সল্টলেকে যেতে পারবেন জেরার জন্য হাজিরা দিতে।
এরপরই সিবিআইয়ের তরফে ফের নোটিস পাঠানো হয়। তাঁকে ১৬ আগাস্ট আসতে বলা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। শুক্রবার রাজীব কুমারের দুই প্রতিনিধি সিবিআই দপ্তরে আসেন। তাঁরা একটি চিঠি জমা দিয়ে যান। তাতে বলা হয়, ১৯ তারিখ হাইকোর্টে মামলা রয়েছে। তাই তাঁকে সময় দেওয়া হোক। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়ে দেয়, এদিনই তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। এরপর দুপুর ১টা ৪৫ নাগাদ তিনি হাজির হন সিজিওতে। সেখানে রোজভ্যালির বিরুদ্ধে করা লিখিত অভিযোগের প্রসঙ্গ ওঠে। প্রাক্তন নগরপাল পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এই ধরনের কোনও অভিযোগের কপির বিষয়ে তাঁর জানা নেই। এদিন তাঁর বক্তব্য পুরোটাই রেকর্ড করা হয়েছে।