কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
দীঘা মোহনার মৎস্যবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ৪০০গ্রাম থেকে ৫০০-৬০০ গ্রামের ইলিশ ৪৮০টাকা থেকে ৫২০টাকা কেজি, ৭০০গ্রাম থেকে ৮০০গ্রামের ইলিশ ৬৫০টাকা থেকে ৭০০টাকা কেজি, ৯০০গ্রাম ও এক কেজি ওজনের ইলিশ ৯০০টাকা ও হাজার টাকা কেজি দরে বিকিয়েছে। এছাড়া ১কেজি ২০০গ্রাম ওজনের ইলিশ দেড় হাজার টাকা বা তার কিছু বেশি দামে বিকিয়েছে। একইভাবে দীঘা মোহনা বা কাঁথি সুপার মার্কেটের খুচরো বাজারেও ইলিশের দাম ছিল চড়া। তবে যাঁদের রেস্তর জোর রয়েছে, তাঁরা দামের তোয়াক্কা না করেই ইলিশ কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। বলছেন, এবার মরশুমে আবহাওয়ার যা পরিস্থিতি দেখছি, তাতে আর যদি ইলিশ না মেলে, তাই আগেভাগেই কিনে নেওয়া।
মৎস্যজীবী সুব্রত কর বলেন, গত বছর এই সময়টায় টানা ইলিশ-অনুকূল পরিবেশ ছিল। তাই প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছিল। কিন্তু, এবার প্রথম থেকেই উল্টো সুরে গান গাইছে আবহাওয়া। সেভাবে বৃষ্টি নেই। শুধু ইলিশ নয়, অন্যান্য মাছেরও আকাল পড়েছে। তবুও গত দু’তিন দিন ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর পুবালি হাওয়া চলার কারণে কিছু ইলিশ পড়ল। ইলিশের সঙ্গে অন্যান্য মাছও ভালোই উঠেছে। তিনি বলেন, দিন পনেরো আগে সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের জালে ১৫টনের কাছাকাছি ইলিশ পড়েছিল। এবার প্রায় ২০টন ইলিশ মৎস্যজীবীদের জালে পড়ল, চলতি মরশুমে যা সর্বাধিক।
দীঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস ও ডিরেক্টর নবকুমার পয়ড়্যা বলেন, মৎস্যশিকারের মরশুমে শুরু থেকেই আমরা নিম্নচাপ, আবহাওয়া দপ্তরের ঘনঘন সতর্কবার্তা ও নিষেধাজ্ঞায় জেরবার। এমনিতেই ইলিশ কম উঠছে, তার উপর যখন-তখন মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রের চেয়ে ডাঙায় বেশি সময় কেটে গেল! অন্যান্য মাছ যতই উঠুক না কেন, এই ইলিশের দিকে তাকিয়ে থাকেন সকলেই। কারণ ইলিশ উঠলে সকলের হাতে দু’টো পয়সা আসে। কিন্তু, দুই দফায় যে পরিমাণ ইলিশ উঠল, তাতে তো সমুদ্রে ট্রলার-লঞ্চ নামানোর খরচই উঠবে না। নিম্নচাপের জেরে সমুদ্র উত্তাল হবে বলে আবহাওয়া দপ্তর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আমরা সব ট্রলার-লঞ্চগুলিকে ফিরে আসার জন্য নির্দেশ দিই। সেই ট্রলার-লঞ্চগুলিতে ২০টন ইলিশ পাওয়া গিয়েছে। আমরা আশাবাদী, আগামীদিনে আবহাওয়া ইলিশ অনুকূল হবে, আরও বেশি পরিমাণ ইলিশ উঠবে এবং দামও আয়ত্তের মধ্যে আসবে।