গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিনের অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু ছাড়াও জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস, সহকারী সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান, জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মধুরিমা মণ্ডল, সুমিত্রা পাত্র ও অনুরাধা নন্দ গোস্বামী, পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ সেন সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন বিভিন্ন স্কুল থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ছাত্রীরা এসে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। সন্ধ্যায় তমলুক রাজ ময়দানে তমলুক পুরসভার উদ্যোগে কৃতী ছাত্রছাত্রী সংবর্ধনা এবং তাম্রলিপ্ত স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে সেখানেই দিব্যাঙ্গদের সহায়ক সরঞ্জাম প্রদান এবং শিশু সুরক্ষা সমিতি, নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতি, তমলুক সংশোধনাগার ও জেলা হাসপাতালের জন্য মশারি দেওয়া হয়। এই উপলক্ষে বহু মানুষ হাজির হয়েছিলেন। সেখানে সঙ্গীতানুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তিন ছাত্রী এবার রাজ্যস্তরে কন্যাশ্রী অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়াও এদিন তমলুকের সুবর্ণ জয়ন্তী ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাবালিকা অবস্থায় নিজের বিয়ে আটকানো এবং উচ্চ মাধ্যমিকে সপ্তম ও নবম স্থানাধিকারী পাঁচ ছাত্রীকে পাঁচ হাজার টাকা করে চেক দেওয়া হয়। ব্যাডমিন্টনে রাজ্যস্তরে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্সের জন্য পটাশপুর-১ ব্লকের মঙ্গলামাড়ো মঙ্গলা আকাদেমির অনুশ্রী খাটুয়া, মিশন নির্মল বাংলা স্কিমের মাধ্যমে বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় জেলার সেরা এবং রাজ্যস্তরে অংশগ্রহণকারী রামনগর-১ ব্লকের বোধড়া পন্থেশ্বরী হাইস্কুলের রূপসা খাতুন, নাবালিকা অবস্থায় নিজের বিয়ে আটকে দৃষ্টান্ত তৈরি করা এগরা-২ ব্লকের বালিঘাই ফকিরদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের স্মৃতিকণা রায়চৌধুরী, উচ্চ মাধ্যমিকে সপ্তম স্থানাধিকারী তমলুকের রামকুমারী সান্ত্বনাময়ী গার্লস হাইস্কুলের সৃজিতা দাস এবং উচ্চ মাধ্যমিকে নবম স্থানাধিকারী চণ্ডীপুরের হাঁসচড়া এমডি হাইস্কুলের সূর্যতপা সাঁতরাকে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। শুভেন্দুবাবুই তাদের হাতে চেক তুলে দেন।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, নারীশিক্ষাই নারী মুক্তির একমাত্র উপায়। সেই বিপ্লবটাই ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্যাশ্রী প্রকল্প আজ বিশ্ববন্দিত। এটা রাজ্য কিংবা দেশের মধ্যে আর সীমাবদ্ধ নেই। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, আমি মাঝেমধ্যে স্কুল ভিজিটে গিয়ে দেখেছি, অনেক স্কুলের শৌচাগার ঠিকমতো পরিষ্কার নয়। এখানে অনেক স্কুলের শিক্ষিকারা আছেন। তাঁদের উদ্দেশে বলব, বিষয়টি একটু নজরে রাখবেন। উন্নয়নে কোথাও কোনও সমস্যা হলে হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে জানাবেন। আমরা সাধ্যমতো পাশে থাকব।
জেলায় এখন মোট ৬৭৯টি কন্যাশ্রী ক্লাব রয়েছে। ক্লাবগুলির সদস্য সংখ্যা ১৬ হাজার ৮৮০জন। এদিন কন্যাশ্রী প্রকল্পের ভালো পারফরম্যান্সের জন্য জেলার তিনটি কলেজ এবং তিনটি স্কুলকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। কন্টাই প্রভাতকুমার কলেজ, এগরা সারদা শশীভূষণ কলেজ এবং বাজকূল মিলনী মহাবিদ্যালয়কে পুরস্কৃত করা হয়েছে। পাশাপাশি এগরা স্বর্ণময়ী গার্লস হাইস্কুল, ময়না বিবেকানন্দ কন্যা বিদ্যাপীঠ এবং মহিষাদল গয়েশ্বরী গার্লস হাইস্কুলকেও পুরস্কৃত করা হয়েছে। ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হিসেবে সান্ত্বনাময়ী গার্লস হাইস্কুল, তমলুক সালগেছিয়া হাইস্কুল ও তাম্রলিপ্ত বালিকা বিদ্যাপীঠ পুরস্কৃত হয়েছে।