কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিধানসভা সূত্রের দাবি, তিনি যদি পদত্যাগ না করতেন, তাহলে অধ্যক্ষ কড়া পদক্ষেপ নিতেন। এই আশঙ্কায় বিধানসভায় পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন গরহাজির থাকায় স্বয়ং অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। মৎস্য দপ্তর সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন শোভন। দীর্ঘদিন ওই কমিটির বৈঠক হয়নি। দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় মন্ত্রিত্ব ও মেয়রের পদ ছেড়ে দেওয়ার পর শোভন আর বিধানসভামুখো হননি। ফলে অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকার পাশাপাশি স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকেও তিনি গরহাজির থেকেছেন। এর ফলে কমিটির কাজ থমকে গিয়েছে। এ ব্যাপারে কমিটির সদস্যরা ছাড়াও বিধানসভার আধিকারিকরাও নালিশ জানান অধ্যক্ষকে। শেষপর্যন্ত শোভন যাতে কমিটির বৈঠকে অবিলম্বে যোগ দেন, সে ব্যাপারে অনুরোধ জানাতেই বিমানবাবু ফোন করেছিলেন তাঁকে।
আগামী ২৬ আগস্ট থেকে বিধানসভার বাদল অধিবেশন বসছে। সপ্তাহ দুয়েক চলার সম্ভাবনা এই অধিবেশনের। অধিবেশনে কয়েকটি বিলও আসতে পারে। এবারের অধিবেশনে সাধারণ বিধায়ক হিসেবে শোভন হাজির হন কি না, তাও নজরে রয়েছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। কারণ, দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর শোভন আর সেভাবে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। দিন কয়েক আগে পুরমন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম তাঁকে ফোন করে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। তারপর একদিন প্রায় মাঝরাতে তাঁর গোলপার্কের ফ্ল্যাটে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী তথা দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাতে বরফ গলার তেমন ইঙ্গিত মেলেনি। এর মধ্যেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনক্রমে শোভনের বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পূর্বে জনসংযোগ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পার্থবাবু। এসবের মধ্যেই শোভনের এদিনের পদত্যাগপত্রকে ঘিরে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চলছে।