কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গা তীরবর্তী ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের তালিকা ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার পাঠিয়েছে। ওই গ্রামগুলিতে জৈব চাষের প্রসার করার দায়িত্ব এখন রাজ্য কৃষি দপ্তরের। জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত রাসায়নিক সামগ্রী মুক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে চাষ গঙ্গার ধারের গ্রামগুলিতে বাড়াতে হবে। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কৃষি দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাতারাতি এই কাজ করা সম্ভব নয়। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিটিতে অন্তত একটি করে গ্রামে জৈব চাষের একটি করে ‘ক্লাস্টার’ তৈরি করা হবে। পরবর্তীকালে এক হাজার ক্লাস্টার করা হবে। পরে তা আরও বাড়ানোর চেষ্টা হবে। প্রতি ক্লাস্টারে জমির পরিমাণ হবে ২০ হেক্টর। স্থানীয় চাষিদের বুঝিয়ে এটা করতে হবে। তার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক দায় কী হবে, সেটা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি ।
জৈব চাষের প্রসারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের একটি বিশেষ প্রকল্প রয়েছে। সেটির নাম- ‘পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ প্রকল্প’। অনেক রাজ্যের থেকে পিছিয়ে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে প্রকল্পটি চলছে। কৃষি দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যের ১৫টি জেলাতে ১২০টি ‘ক্লাস্টারে’ এই প্রকল্পে জৈব চাষ করা হচ্ছে। প্রতি ক্লাস্টারে জমির পরিমাণ ২০ হেক্টর। সব মিলিয়ে ২৪০০ হেক্টর জমিতে সরকারি সাহায্যে রাজ্যে জৈব চাষ শুরু হয়েছে। পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ প্রকল্পে চাষিদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। তিন বছরে প্রতি হেক্টরে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয় চাষিদের। চাষের খরচ ছাড়াও উৎপাদিত পণ্য বিপণনের জন্য এই অর্থ দেওয়া হয়। জৈব চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ওই অনুদান দেওয়া হয়। কারণ প্রথম পর্যায়ে জৈব চাষে লোকসানও হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প হলেও এখানেও মোট খরচের ৪০ শতাংশ বহন করতে হয় রাজ্যকে।
কৃষি দপ্তর প্রাথমিকভাবে যা ইঙ্গিত পেয়েছে, তাতে পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ প্রকল্পের আদলেই গঙ্গা তীরবর্তী গঙ্গা গ্রামগুলিতে জৈব চাষ করা হবে। জৈব চাষ শুরু করার জন্য এক লপ্তে জমির সংস্থান করতে হয়। চাষিদের বুঝিয়ে রাজি করালে তবেই এটা করা যাবে। সাধারণভাবে দেখা গিয়েছে, প্রথমে জৈব চাষ শুরু হলে কৃষি উৎপাদন কমে যায়। কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের তুলনায় জৈব সার ও কীটনাশক ব্যবহারে ধান উৎপাদন প্রাথমিকভাবে অর্ধেক হয়ে যায়। তবে সাধারণভাবে দেখা যাচ্ছে, অনেক চাষি জৈব চাষে আগ্রহী। কারণ এতে দামি রাসায়নিক সার, কীটনাশক কিনতে হয় না। তাছাড়া উৎপাদিত জৈব কৃষিপণ্যের দামও বেশি পাওয়া যায়।