বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
দেশের আর্থিক অবস্থার হাল তুলে ধরে অমিত মিত্র বলেন, শিল্পের উৎপাদন এ বছরের জুন মাসে ২ শতাংশ হারে বেড়েছে। ২০১৮ সালের এই একই সময়ে ৭ শতাংশ হারে বাড়ছিল। সেটি এখন ২ শতাংশে নেমে এসেছে। এপ্রিল, মে থেকে জুন মাসের হিসেব ছিল ৩.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি। গত বছরে একই সময়ে যে বৃদ্ধির হার ছিল ৫.১ শতাংশ। ইনডেক্স অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন(আইআইপি) জুন মাসে দেখাচ্ছে ১.২ শতাংশ। যা গত বছর জুন মাসে ছিল ৬.৯ শতাংশ। এই তথ্যই প্রমাণ করে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক অবস্থা কী। দেশজুড়ে মন্দার মেঘের ঘনঘটা চলছে। তীব্র আর্থিক মন্দা ভারতীয় অর্থনীতিতে। ‘পলিসি প্যারালিসিস’-এ ভুগছে কেন্দ্রীয় সরকার।
অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র তথ্য তুলে ধরে বলেন, মূলধনী পণ্য অর্থাৎ ক্যাপিটাল গুডস সেক্টরে বৃদ্ধি গত বছরে ছিল ৯.৭ শতাংশ। তা গত জুন মাসে দাঁড়িয়েছে মাইনাস ৬.৫ শতাংশ। এই পণ্যগুলি থেকেই কারখানার মেশিন তৈরি হয়। অর্থাৎ মেশিন, যন্ত্রপাতি তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে বৃদ্ধি গত বছর ছিল ৬.৯ শতাংশ। তা কমে গত জুনে হয়েছে ১.২ শতাংশ। খনিজ উৎপাদন গত বছর জুনে ছিল ৬.৫ শতাংশ। তা কমে হয়েছে ১.৬ শতাংশ। যদিও পশ্চিমবঙ্গে খনিজ উৎপাদন ভালো হয়। বেকারত্ব এখন সর্বোচ্চ। ২০১৮-১৯ সালে বেকারত্বের হার ৬.১ শতাংশ। নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ ৮১ শতাংশ কমে গিয়েছে। গত ১৫ বছরে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে এবারই নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ সবচেয়ে কম। তার মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগও হচ্ছে না। বিদেশি বিনিয়োগ এখন নেগেটিভ হয়ে গিয়েছে। যা গতবছর ছিল ১.০৯ শতাংশ। অটোমোবাইল শিল্পে অর্ধেক লোকের চাকরি চলে গিয়েছে। মারাত্মক অবস্থা এই শিল্পে, যেখানে ৩.২ কোটি মানুষ চাকরি করে।
জিডিপি’র ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে রয়েছে বলে তথ্য দেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি বলেন, এটা আমার তথ্য নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রকের হিসেবে এ রাজ্যের জিডিপি বৃদ্ধির হার ১২.৫৮ শতাংশ। এরপরে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তার জিডিপি বৃদ্ধির হার হল ১১.০২ শতাংশ। বিহারের জিডিপি বৃদ্ধি ১০.৫৩ শতাংশ। তেলেঙ্গানার জিডিপি বৃদ্ধি ১০.৫০ শতাংশ। মাত্র চারটি রাজ্যে ১০’র বেশি হারে জিডিপি বৃদ্ধি হয়েছে। বাকি সব রাজ্যের জিডিপি বৃদ্ধির হার ১০-এর নীচে। একদিকে যখন তীব্র মন্দা, তখনও অপরদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুষ্ঠু নীতির জন্য পশ্চিমবঙ্গে জিডিপি বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘পলিসি প্যারালিসিস’-এর জন্য অর্থনীতির এই অবস্থা। সরকার অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে আবার কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি (সিএসআর)-এ দু’শতাংশ খরচ না করলে শিল্পপতিদের জেলে পাঠানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দু’একজন মুখ খুলছেন। কথা বললে জানবেন, তাঁরা কতটা ভীত। ভয় দেখানো হচ্ছে শিল্পপতিদের। তাঁদের গ্রেপ্তার করার ধারা ঢোকানো হয়েছে, যা আগে ছিল না।