বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে নারকেলডাঙা নর্থ রোডের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় উত্তর কলকাতার কাশীপুর থানা এলাকার বাসিন্দা এক যুবতীর। পরবর্তী সময় তাঁদের একটি পুত্র সন্তানেরও জন্ম হয়। ওই মহিলার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর উপর নানাভাবে নির্যাতন চালাতে থাকেন। তাতে তাঁর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। তিনি শিয়ালদহ কোর্টে পারিবারিক হিংসার মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তিনি কোর্টে স্বামীর কাছে থাকা শিশুপুত্রটিকে ফেরত চাওয়া ছাড়াও অন্তর্বর্তী রায়ে খোরপোশ দাবি করেন। পরবর্তী সময় মূল মামলার শেষে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ২১ লক্ষ টাকাও দাবি করেন।
মহিলার দাবি দাওয়া এবং শিশুপুত্রটিকে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে আদালতে শুরু হয় আইনি সওয়াল। মহিলার স্বামীর আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করে বলেন, আমার মক্কেলের স্ত্রী বেপরোয়া জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাঁর একাধিক পুরুষ বন্ধু আছে। তিনি নানা রেস্তরাঁতে মদ্যপানও করে থাকেন। এমনকী তিনি মাঝেমধ্যে হুক্কাবারে যান। এরকম একজনের সঙ্গে আদৌও কারও ঘর-সংসার করা সম্ভব? শুধু তাই নয়, এরকম একটি অবস্থায় ওই শিশুপুত্রটি মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলে, সেখানে সে অনুকূল পরিবেশ তো পাবেই না, উল্টে ‘অমানুষ’ তৈরি হবে। ওই বক্তব্যর সমর্থনে আদালতের কাছে যাবতীয় নথিপত্রও পেশ করা হয়। শুধু তাই নয়, মহিলার মোবাইল ফোন থেকে নানা আপত্তিকর ছবি ও মেসেজের নথিপত্র কোর্টের কাছে পেশ করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রাজ্যের সমাজ কল্যাণ দপ্তরের নিযুক্ত একজন প্রোটেকশন অফিসারকে সমগ্র বিষয়টি তদন্ত করে কোর্টে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেন। পরবর্তী সময় ওই প্রোটেকশন অফিসার আদালতের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মামলাকারী অসংলগ্ন ও বেপরোয়া জীবনযাপন করে থাকেন। সেখানে শিশুটি কোনও অবস্থাতাতেই সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকতে পারে না। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে বিচারক মামলাকারীর সন্তান ফিরে পাবার আবেদন নাকচ করে দেন। আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, এই ধরনের রায় নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। এই রায় সমাজে একটা আলাদা বার্তা বহন করবে।